ফের দ্বন্দ্ব বাধলো নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতীর মধ্যে। এবার অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে অর্থনীতিবিদের এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে জটিলতা এখনও মেটেনি। জটিলতা মেটানোর জন্য অর্থনীতিবিদকে চিঠিও পাঠিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তিনি সময় চেয়েছিলেন। আইন মোতাবেক ৭ দিনের বেশি সময় দেওয়া যায় না। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়াতেই ১৯ এপ্রিল কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অমর্ত্য সেনের আইনজীবীকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। যাতে ওই কঠোর পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শুনানির সময় শেষ হয়ে যাওয়াতে বিশ্বভারতী এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে। নোটিশে এও উল্লেখ আছে, অমর্ত্য সেনের আইনজীবী চাইলে স্ব-শরীরে বা ই-মেইলের মাধ্যমে বক্তব্য জানাতে পারেন।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবী আবার বুধবার প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখে নিরাপত্তার দাবি করেছেন। তিনি লিখেছেন, অমর্ত্য সেনের অনুপস্থিতিতে তাঁর (অমর্ত্য সেন) বাড়ির (প্রতীচী) শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সাহায্যের দরকার।
অমর্ত্য সেন এখন বিদেশে রয়েছেন। সেই জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ৪ মাস সময় চেয়েছিলেন অর্থনীতিবিদের আইনজীবী। সেই আবেদন গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয়। এখন ১৯ তারিখ ঠিক কী হয় সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অমর্ত্য সেনের জমি ও বাড়ি নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করে, ১৯৪৩ সালের ২৭ অক্টোবর আশুতোষ সেনকে (অমর্ত্য সেনের বাবা) বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের অন্তর্গত ১.২৫ একর জমি ইজারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে অমর্ত্য সেন ১.৩৮ একর জমি দখল করছেন। অর্থাৎ ১৩ ডেসিমেল জমি অতিরিক্ত দখল করছেন সেন। সেনের পাল্টা দাবি, ওই জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর থেকে লিজ নেওয়া, বাকি জমি তিনি কিনেছেন। এখন মিথ্যে কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন