বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ চাইলেও জেলা জজ না থাকায় মামলার শুনানি পিছিয়ে ১৫ মে করা হয়েছে।
বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে 'বিতর্কিত' ১৩ ডেসিমাল জমি নিয়েই বিবাদ শুরু হয়। ওই জমি বর্তমানে ব্যবহার করেন অর্থনীতিবিদ। তাঁর দাবি, ওই জমি কিনেছেন তিনি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এই জমি জোর করে দখল করছেন অমর্ত্য সেন। বিশ্বভারতী ওই জমি খালি করার নির্দেশে দিয়েছিল অমর্ত্য সেনকে। খালি না করলে উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা আদালতে যান অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা।
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইনজীবীরা আদালতে যান বিশ্বভারতীর নোটিশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চাইতে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। কারণ বিশ্বভারতী আগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করেছিল এবং জেলা জজ অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয় ১৫ মে, সোমবার। উভয় পক্ষকেই উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি। ওই দিন আদালত কী রায় দেয় সেদিকেই নজর সকলের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে অমর্ত্য সেনকে একটি নোটিশ দেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতোর স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, ‘আগামী ৬ মে-র মধ্যে যদি বিতর্কিত জমি খালি না করা হয়, তাহলে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হবে কর্তৃপক্ষ।’ এই নোটিশ জারি করা হয়, পাবলিক প্রেমিসেস (উচ্ছেদ ও অননুমোদিত দখলকারী) আইন, ১৯৭১-এর অধীনে।
গত মার্চ মাসেও অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ নোটিশ পাঠিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিশের আইনি যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরাসরি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠিও লিখেছিলেন অমর্ত্য সেন। তারই জবাবে বিতর্কিত জমি ছাড়তে ফের নোটিশ দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন