Debra: ত্রাণ আসার খবরে এক সপ্তাহ পর এলাকায় তৃণমূল অঞ্চল প্রধান, ‘চালচোর’ বলে তাড়া করলেন গ্রামবাসীরা

People's Reporter: গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা জলবন্দি। কিন্তু এই গ্রামে ত্রাণ তো দূরের কথা পানীয় জলও মিলছে না। এদিন বিকেলে ত্রাণ আসবে শুনে গ্রামে হাজির হন তৃণমূল নেতারা।
‘চালচোর’ বলে গ্রামবাসীরা এলাকা ছাড়া করলেন তৃণমূল অঞ্চল প্রধান এবং তাঁর স্বামীকে
‘চালচোর’ বলে গ্রামবাসীরা এলাকা ছাড়া করলেন তৃণমূল অঞ্চল প্রধান এবং তাঁর স্বামীকেপ্রতীকী ছবি সংগৃহীত
Published on

জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার একাধিক জায়গা। এই পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ পর এলাকায় তৃণমূল নেতারা যেতে, তাঁদের ‘চালচোর’, ‘ত্রিপলচোর’ বলে এলাকা ছাড়া করলেন গ্রামবাসীরা। এমনকি এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হল তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রাধাকান্ত মাইতিকেও।

রবিবার ডেবরার ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বীরসিংহপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। বন্যা বিধ্বস্ত মানুষদের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা জলবন্দি। কিন্তু এই গ্রামে ত্রাণ তো দূরের কথা পানীয় জলটুকুও মিলছে না। এমত অবস্থায় এদিন বিকেলে ত্রাণ আসবে শুনে গ্রামে হাজির হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ তাজউদ্দিন এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্চল প্রধান সাকিলা বিবি। সাথে ছিলেন তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রাধাকান্ত মাইতি।

এরপরেই তাঁদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন গ্রামবাসীরা। এরপরেই তাঁরা চিৎকার করে জানান, “সাত দিন কোথায় ছিলেন? একটা নৌকা দেননি। সেটা থাকলে তো আমরা নিজেদের খাবার এবং পানীয় জলের জোগাড় নিজেরা করতে পারতাম।“ এরপর ত্রাণ বিলির জন্য কমিটি করে দেওয়ার কথা জানান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ তাজউদ্দিন। তখনই গ্রামবাসীরা ‘চালচোর’, ‘ত্রিপলচোর’ বলে তাঁদের দিকে তেড়ে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়েন অঞ্চল প্রধান। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকেও কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করেন মানুষ। বের করে দেওয়া হয় তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রাধাকান্ত মাইতিকেও।

পরে প্রশাসনিক কর্মীরা এলাকায় ত্রাণ দিতে এলে গ্রামের মানুষ জানিয়ে দেন, তাঁরা কোনো তৃণমূল নেতার হাত থেকে ত্রাণ নেবেন না। প্রশাসনিক কর্মীরা গ্রামের মানুষকেই ত্রাণ বিলির দায়িত্ব দেন। সন্ধ্যার পর গ্রামের দুঃস্থ মানুষ বাছাই করে কোনো বিতর্ক ছাড়াই তাঁদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন গ্রামের মানুষই। এবং তালিকা করে রাখেন।

অন্যদিকে, মানুষের বিক্ষোভের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের ঘাটাল সংগঠনের সভাপতি রাধাকান্ত মাইতি। সংবাদ মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অঞ্চল প্রধান এবং তাঁর স্বামীকে এলাকায় গিয়ে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া উচিত ছিল।

এদিকে, দাসপুর, ডেবরা, চন্দ্রকোনাতে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জল নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও ঘাটাল ব্লকের ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১৬ টি পৌরসভা ওয়ার্ড জলের তলায়। জল পচে দুর্গন্ধ ছাড়তে শুরু করেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জল সংগ্রহে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

‘চালচোর’ বলে গ্রামবাসীরা এলাকা ছাড়া করলেন তৃণমূল অঞ্চল প্রধান এবং তাঁর স্বামীকে
তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাধায় মেধা পরীক্ষা দেওয়া হল না ৩৫০ পড়ুয়ার! পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
‘চালচোর’ বলে গ্রামবাসীরা এলাকা ছাড়া করলেন তৃণমূল অঞ্চল প্রধান এবং তাঁর স্বামীকে
গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করলে আমি অহেতুক তৃণমূলের বিরোধিতা করব না: নয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in