আনিস খান হত্যাকান্ডের তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিট গঠন করে বলেছিলেন, পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কিন্তু তারপর দু-সপ্তাহের বেশি সময় কেটে যাওয়ার পরেও রিপোর্ট জমা পড়েনি। দুজনের বেশি কেউ গ্রেফতারও হয়নি।
অবশেষে শুক্রবার রিপোর্ট জমা পড়ে। হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছিল পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে। কিন্তু আনিসের পরিবার এখনও রিপোর্ট পায়নি বলে অভিযোগ। আনিসের পরিবার ফের সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। প্রথম থেকেই তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছেন।
শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য। হাওড়া জেলা ও দায়রা বিচারকের রিপোর্ট জমা পড়ছে আদালতে। আনিসের পরিবারের হাতেও সেই রিপোর্টের একটি কপি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আনিস মামলার আইনজীবীদের হাতে তা তুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁরা তা পাননি বলে অভিযোগ।
ফলে আনিসের পরিবার এখনও জানে না, এই মৃত্যু রহস্য নিয়ে সিট তদন্ত করে কী কী তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছে। পরিবারের অভিযোগ, আনিসের দেহের দু’বার ময়নাতদন্ত হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাননি কেউ। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আনিসের দাদা সাবির খান বলেন, ‘সিটের তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়েছে কি না জানি না। আইনজীবীদের সঙ্গেও এব্যাপারে এখনও কোনও কথা হয়নি।’
উল্লেখ্য, শুক্রবারই সিটের কয়েকজন সদস্য তদন্তের জন্য আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে আনিসের বাড়ি যান। ঘটনার দিন আনিসের খুড়তুতো দাদার মোবাইল থেকে তাঁর বাবা আমতা থানায় সাহায্যের জন্য ফোন করেছিলেন। সেই অডিও ক্লিপ দুটি তদন্তকারীরা চান। ফোন থেকে অডিয়ো ক্লিপগুলি পেনড্রাইভে নিতে চান তাঁরা। কিন্তু পরিবার তা দিতে অস্বীকার করে।
আনিসের দাদা সাবির খান হোয়াটসঅ্যাপ থেকে তদন্তকারী অফিসারদের ওই অডিও ক্লিপ দিতে চান। কিন্তু তদন্তকারীরা তাতে রাজি হননি। সাবিরের অভিযোগ, সিট তদন্তকে ধামাচাপা দিচ্ছে। তাই তাদের ওপর আর কোনও ভরসা নেই। তদন্তে আর কোনও সহযোগিতা করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। তাঁদের অভিযোগ, তদন্তকারীরা একই কথা বারবার জিজ্ঞাসা করছেন। তারপর আবার তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন