মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকান্ডের তদন্ত ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দুজন ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বিশেষ তদন্তকারী দল। এই ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠিত হওয়ার পর এখনও প্রকাশ্যে আসেনি রিপোর্ট। মূল অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়নি।
সোমবার দুপুরে আনিসের বাবা সেলিম খান বলেন, 'সিটের তদন্তে আমার প্রথম থেকে কোনও ভরসা ছিল না। পুলিশ কখনও পুলিশকে অপরাধীর চোখে দেখে! এই সিটের উপর আমার কোন আস্থা নেই।' এদিন সিটের তদন্তকারী সদস্যরা আমতার সারদা গ্রামে দক্ষিণ খানপাড়ায় আনিসের বাড়িতে যান। সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবের আধিকারিকরা সেখানে যান। ১৭ দিনের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন।
আনিসের বাবার প্রশ্ন, যে চারজন সেদিন রাতে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তাদের কাউকেই এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারল না কেন? আমায় যে উর্দিধারী পুলিশ বন্দুক ঠেকিয়ে দরজার সামনে আটকে রেখেছিল, তাকে এখনও কেন গ্রেফতার করল না? যদি গ্রেফতার না করে, তাহলে সিটের তদন্তে আমি কোনওরকম সহযোগিতা আর করব না।
আনিসের দাদা সাবির খান এদিন তৃণমূল ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই বিধায়ক বিভিন্ন সভায় প্রকাশ্যেই বলেছেন, সিটের তদন্তে জানা গিয়েছে সেদিন রাতে যখন ওর বাড়িতে গেছে পুলিশ তখন আনিস তিন তলার পাইপ বেয়ে নীচে নামতে গিয়ে পড়ে মারা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সাবির খানের বক্তব্য, প্রচুর মানুষ, মিডিয়া প্রায়দিনই আমাদের বাড়িতে আসছেন। তারা দেখান তো আমাদের বাড়িতে কোথায় পাইপ রয়েছে। যেখান থেকে নীচে নামতে গিয়ে পড়ে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে! এত বড় মিথ্যাচার! ওই লোকটার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। সিটের রিপোর্ট তো বেরোয়নি। তাহলে কী করে তৃণমূল বিধায়কের হাতে গেল রিপোর্ট? পাইপের তত্ত্বই বা কীভাবে সামনে আনল সিট?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন