ছোট ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এরপর পরিবারের প্রাণনাশের আশঙ্কা করেছিলেন নিহত আনিস খানের বাবা সালেম খান। প্রশাসনকে সেব্যাপারে তিনি জানান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য আমতা গ্রামে তার বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা ও হাই মাস্ট আলো লাগানো হয়। কিন্তু তারপরও তিনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না। পুলিশের ওপর ভরসা করতে পারছেন না। তাই নিরাপত্তার ব্যাপারে পারে এবার নিজেই উদ্যোগী হলেন তিনি। পুলিশি প্রহরা আগে থেকে থাকলেও এবার বাড়িতে চারটি সিসিক্যামেরা লাগালেন সালেম খান।
গত বৃহস্পতিবার বাড়ির অন্দরে দু’টি, ছাদে একটি ও বাড়ির মূল গেটে একটি সিসি ক্যামেরা লাগান সালেম। তিনি বলেন, ‘অনেক লোকের আনাগোনা বাড়িতে। তদন্তের নামে পুলিশ ও সিটের লোকজনও আসছেন। তাঁরা বাড়ির চারপাশে ঘোরাফেরা করছেন। পুলিশ আনিসকে খুন করল, আবার ওরাই আমাদের পাহারা দিচ্ছে! পুলিশের প্রতি আমাদের ভরসা নেই। তাই নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে নিয়েছি।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় আনিসের বাড়ি যান সিপিআই(এম) পলিটবুরোর সদস্য হান্নান মোল্লা। তিনি সালেমের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। হান্নানের বক্তব্য, ‘আনিসের হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সিপিআই(এম)-র ছাত্র-যুব সংগঠন প্রথম থেকেই লড়াই করছে। আমাদের দল প্রথম থেকেই আনিসের পরিবারের পাশে আছে। কৃষকসভার সদস্যেরা চাঁদা তুলেছেন। সেই টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। যত দিন না আনিসের বাবা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন, তত দিন আমাদের দল পাশে থাকবে।’
এদিন ফের সিবিআই তদন্তেরও দাবি তোলেন সালেম খান। আনিসের পরিবার বরাবরই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে। তাদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ যেখানে আনিসকে খুন করেছে, সেখানে পুলিশ নিজের বিরুদ্ধে কীভাবে তদন্ত চালিয়ে যাবে। সিটকে সময় দেওয়া হয়েছিল ১৫ দিনের মধ্যে। কিন্তু রিপোর্ট পেশ করতে সময় লাগে তারও বেশি। তারপর ২০ পাতার একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। হাইকোর্ট অবশ্য আরও একমাস সময় দিয়েছে। তার মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন