ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদ-আন্দোলন ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। সঠিক তদন্তের দাবিতে পথে নেমেছে বাম-ছাত্র যুব সংগঠন। ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হাওড়ার আমতায়। আমতা থানা ঘেরাও করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। ভেঙে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। আজ ভবানী ভবনে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে ডেকে তাঁর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট নেন ডিজি।
ভবানী ভবন সূত্রে খবর, ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক ঘটনার তদন্ত করবেন। পুলিশকে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি। এদিকে, সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড় আনিসের বাবা। মৃতের পরিবারের সঙ্গে এদিন দেখা করেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র, কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ মে পুলিশকে চিঠি লিখেছিলেন আনিস। তাতে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে, নিজের ও পরিবারের প্রাণ বিপন্ন হতে পারে। আমতা থানার আধিকারিককে সম্বোধন করে লেখা সেই চিঠিতে আনিস উল্লেখ করেছিলেন, শাসক দলের স্থানীয় নেতারা তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপর হামলা করতে পারে। পুলিশ ব্যবস্থা নিক। কিন্তু পুলিশ আনিসের আবেদনে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ।
আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে এসএফআই। পাঁচ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে না ধরলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। এসএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘সুপরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে আনিসকে। ছেলেটি অপরাধ, সে এলাকায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল। তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধিতা করেছিল।'
তাঁর প্রশ্ন, আনিসের দেহের ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের কাউকে রাখেনি কেন পুলিশ? বাড়ির লোকজন জানতেনও না। বিষয়টি চেপে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে পুলিশ। উত্তররদেশের সঙ্গে তুলনা করে তাঁর অভিযোগ, এটা এনকাউন্টার, যেমন সুদীপ্ত এবং মইদুলের ক্ষেত্রে হয়েছিল। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন