জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ বামেদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছান মীনাক্ষী মুখার্জি, কলতান দাসগুপ্ত সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব। ফের একবার অ্যাম্বুলেন্স আটকে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা। তাদের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের বদলে শাসকদলের নেতাদের তোলা হচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরের মহিষমারি এলাকায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় মহিষমারিতে। দেহ পদ্মেরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভ দেখায় বাম ও বিজেপি। ওই হাসপাতালে যান কান্তি গাঙ্গুলি, মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব।
পুলিশের সাথে ব্যাপক বচসায় জড়ান বাম নেতৃত্ব। মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, 'একই ঘটনা বার বার ঘটছে। আর পুলিশ চুপ! আরজি কর কাণ্ডের সময়ও দেখা গেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা। জয়নগরেও একই ছবি ধরা পড়লো। হাসপাতাল চত্বর থেকে অবিলম্বে বহিরাগতদের সরিয়ে দিতে হবে। পুলিশ যদি আমাদের বহিরাগত মনে করে তাহলে আমাদেরকেও সরিয়ে দিক। কিন্তু হাসপাতালে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরাই যেন থাকে। স্বচ্ছভাবে ময়নাতদন্ত করা হোক'।
আরজি কর কাণ্ডের মতো পদ্মেরহাট হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স আটকে বিক্ষোভ দেখান মীনাক্ষী মুখার্জিরা। তাঁদের অভিযোগ, 'পুলিশের পোশাক পরা অথচ কোনও নাম নেই এমন একজনকে অ্যাম্বুলেন্সকে তোলা হয়েছে। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তৃণমূলের নেতারা উঠছে। পুলিশ চুপ করে রয়েছে। আমাদের দাবি ছিল নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের কাউকে অ্যাম্বুলেন্সে দিতে হবে।'
ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। শাসকদলের সাংসদকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যেতে হয় প্রতিমা মণ্ডলকে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে জয়নগরের মহিষমারি এলাকার এক পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ন’বছরের এক শিশুর দেহ। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুপুরে কোচিং সেন্টারে যায়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটি বাড়ি না ফেরায় মহিষমারি থানায় অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বলা হয় জয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে।
এরপর রাতে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। শিশুটিকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন