রাজ্যে একলাফে ১৫ গুন বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্য সরকার একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করেছে। বিধিনিষেধ অনুযায়ী রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিয়ে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি গভীর উদ্বিগ্ন। তিনি বলে ফেলেছেন – “এতে শিক্ষা-ফিক্ষা সমস্ত কিছু ডকে উঠে যাবে।”
অনুব্রত বলেন, “ ... কিছু করার নেই, বাচ্চা ছেলেদের কোভিড হয়ে গেলে আরও মুশকিল হবে। তবে এতে শিক্ষা ফিক্ষা সমস্ত কিছু ডকে উঠে যাবে। বাড়িতে বসে পড়াশোনা হয় না। স্কুলে যে জিনিসটা হয় সেটা কি আর বাড়িতে বসে হয়।”
স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র অনুব্রতর এই মন্তব্যে খানিকটা অস্বস্তিতে শাসক শিবির। তৃণমূলের অন্দরেরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই নিয়ে। বীরভূমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন অনুব্রত। যেখানে শপিং মল , পানশালা ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে পারবে, সেখানে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হচ্ছে কেন, সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতির কাছে।
যদিও বীরভূম তৃণমূলের নেতৃত্ব ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন। তাঁদের দাবি, অনুব্রত অফলাইন ও অনলাইন পড়াশোনার পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন। যেহেতু গ্রামে অনলাইন শিক্ষার পরিকাঠামো নেই, তাই তিনি এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন। বিরোধীরা বলছেন, উনি মুখ ফস্কে সত্যিতা বলে ফেলেছেন। রাজ্য সরকার দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ‘ডকে’ তোলার ব্যবস্থাই করছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাজ্যসরকারের বিধিনিষেধ জারি হওয়ার পর বন্ধ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কী করে পঠনপাঠন চলবে, তা নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। সামনেই রয়েছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কার্যত থমকে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন