মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, সূচপুরের মতো রামপুরহাটের এই গণহত্যা কাণ্ডকে সাজাতে হবে। বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সেই মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু তা নিয়ে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কোনও মন্তব্য করলেন না।
শুক্রবার কুণালের মন্তব্যের কথা জানিয়ে অনুব্রতের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। কেষ্টা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কে, কোন কুণাল ঘোষ?’ পরিচয় জানানো হলে প্রশ্ন করা হয়, ‘কী বলেছে?’ এরপর জেলা সভাপতি বলেন, ‘কুণাল ঘোষ কী বলেছে, সেটা আমি বলতে রাজি নই। আমার বক্তব্য হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন হবে।’
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুক্রবার ইঙ্গিত দেন, বগটুই-কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত। তার দায় দল নেবে না। সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল বড় নেতা। বেশি বোঝেন। ওঁর কোনও কথার প্রতিক্রিয়া হিসাবে আমি কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’
এদিকে, বগটুই-কাণ্ডের সিবিআই তদন্ত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘কোর্ট অর্ডার দিয়েছে। কোর্টের উপর কেউ আছে না কি? কোর্ট যা বলেছে সেটা-ই হবে।’
প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হওয়া গণহত্যার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে ভরসা কোর্টে পারছেনা কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।
শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, সেই ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার আর কোনো তদন্ত করতে পারবে না। হাইকোর্টের নজরদারিতে চলবে সিবিআই তদন্ত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন