গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, তৃণমূল কংগ্রেসের ‘হেভিওয়েট নেতা’ অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বাল। শুক্রবার, সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে।
উল্টে, দুবরাজপুর থানায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার যে অভিযোগ দায়ের করেছেন বীরভূমের শিবঠাকুর মণ্ডল, সেই মামলার কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী কপিল সিব্বালের উদ্দেশে বিচারপতি বাগচী বলেন, ‘বর্তমানে আপনার মক্কেল এতই হেভিওয়েট (ভিআইপি) যে, তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছে। এই ধরনের ব্যক্তিদের ভিভিআইপি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।’ আর, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে হেভিওয়েট তকমা টেনে এনে তাঁর জামিনের খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।
একইসঙ্গে, নিম্ন আদালতের বিচারককে হুমকির ঘটনায় রাজ্য কী তদন্ত করেছে, তা-ও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী ৩ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ডিসেম্বর, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বালিগিরি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিবঠাকুর। তিনি জানান, ২০২১ সালে অনুব্রত তাঁকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। শিবঠাকুরের এই অভিযোগের ভিত্তিতে অনুব্রতকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দুবরাজপুর আদালতের বিচারক।
বর্তমানে দুবরাজপুর থানায় রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এর, নতুন মামলার জেরে থমকে গিয়েছে অনুব্রতের দিল্লিযাত্রা। বৃহস্পতিবার, দুবরাজপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন শিবঠাকুর।
ঘটনাচক্রে, এদিনই গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডিকে অনুমতি দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই দলীয় কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় ৭ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় দুবরাজপুর কোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট গরু পাচার মামলায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর যত সময় এগিয়েছে, ততই এই মামলার তদন্ত নানা দিকে মোড় নিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন