সিবিআই আধিকারিকদের ফিরিয়ে দিলেন বোলপুরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। বুধবার রাজ্যের বহু কোটি টাকার গরু চোরাচালান কেলেঙ্কারি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) কর্মকর্তারা বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি পৌঁছলে তাঁদের সাহায্য করতে অস্বীকার করেন অনুব্রত কন্যা।
এদিন এক মহিলা আধিকারিক সহ চার সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্যে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বীরভূম জেলার বোলপুরে অনুব্রত মন্ডলের পৈতৃক বাসভবনে যান। সিবিআই আধিকারিকদের বাসভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও, তাঁদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি অস্বীকার করেন।
সিবিআই সূত্র জানিয়েছে যে সুকন্যা মন্ডল এজেন্সি আধিকারিকদের বলেন, একবছর আগে তিনি মাকে হারিয়েছেন এবং বর্তমানে তার বাবা হেফাজতে আছেন। এই অবস্থায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় তিনি নেই। তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য তাকে প্রায় ১০ মিনিট বোঝানোর চেষ্টা করার পর সিবিআই দল চলে যায়।
সূত্র অনুসারে, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড এবং নির ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামক দুই সংস্থার একজন ডিরেক্টর অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সিবিআই এই তথ্য জানার পর সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই দুই কোম্পানির অপর পরিচালক বিদ্যুৎ গায়েন।
সিবিআই আধিকারিকদের সন্দেহ, দুই সংস্থা আদপে গোপন কোম্পানী এবং যা অবৈধ গবাদি পশু ব্যবসার আয় বিভিন্ন উপায়ে সরানোর কাজে ব্যবহার করা হত। এক্ষেত্রে সবথেকে বড়ো প্রশ্ন, সরকারি স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষিকা সুকন্যা মণ্ডল কীভাবে এত বড় সম্পদ ও সম্পত্তি নিজের নামে রাখতে পারেন?
সিবিআই সূত্র আরও জানিয়েছে, এই দুই সংস্থার পাশাপাশি, সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি, যা তার ব্যক্তিগত এবং যৌথভাবে তার বাবা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে রয়েছে সেগুলিও নজরদারির আওতায় রয়েছে।
বুধবার, তদন্তকারী সংস্থা অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারি, সেইসাথে বোলপুরের একটি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখার দুই কর্মচারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে, যেখানে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে - দু'জনেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন