গোরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই-র একটি বিশেষ দল মধ্যরাতে অভিযান চালিয়েছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআই এক ট্যুইট করে জানিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে গরুপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ এর বিশাল বাহিনী। রাত ১টা নাগাদ সিবিআই-এর আধিকারিকরা বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ভোররাতে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। গোরুপাচার কান্ডের অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকে ৪১এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র অনুসারে, তাঁকে দুর্গাপুরের সিবিআই ক্যাম্প অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদিও তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সেই বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি।
সিবিআই সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে দুর্গাপুরের সিবিআই ক্যাম্প অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুব্রতকে। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জেলা সভাপতি থেকে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হন অনুব্রত মন্ডল। হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতাকে সিবিআই আটক করায়, চরম অস্বস্তি তৃণমূল শিবিরে।
এর আগে গরুপাচার মামলায় দশ বার নোটিস পাঠালেও মাত্র একবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। গত সোমবার, অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব করলেও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়িয়ে যান। কলকাতায় এসে এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে তিনি বোলপুর ফিরে যান। ওইদিনই এসএসকেএম থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁর হাসাপাতালে ভর্তি হবার কোনও প্রয়োজন নেই। এরপর বুধবার তাঁকে সিবিআই ডাকলেও তিনি বোলপুরের বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর আইনজীবীরা যোগাযোগ করেন সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বোলপুরের বাড়িতেই ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। সকাল ৯টা ৪৫মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের সাতটি গাড়ির কনভয় পৌঁছে যায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। মধ্যরাতেই সিবিআইয়ের ৩৫ জনের প্রতিনিধি দল পৌঁছে যায় বোলপুরের রতনকুটির গেস্ট হাউসে। ব্যাঙ্ক কর্মীদেরও ডাকা হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। আসানসোলের সিবিআই ক্যাম্প থেকেও আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে খবর, গোরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ রয়েছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে। সেই তথ্যপ্রমাণকে সামনে রেখে বীরভূমের ‘কেষ্ট’ কে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন