বীরভূম এখনও হাতের মুঠোয় থাকলেও হাতছাড়া হল পূর্ব বর্ধমান। সেখানকার তিনটি জায়গার দায়িত্ব থেকে সরানো হল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। নতুন দায়িত্ব পেলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
অনুব্রতর জায়গায় এখন থেকে মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম এবং কেতুগ্রাম এই তিনটি বিধানসভার দায়িত্বে থাকবেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু। অর্থাৎ, এখন থেকে আর এই তিনটি বিধানসভার দায়িত্বে থাকবেন না 'কেষ্ট'।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই তিন এলাকার নেতারা আপাতত পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম, দুই জেলার নেতৃত্বের সঙ্গেই সংযোগ রেখে কাজ করবেন।
দীর্ঘদিন ধরেই যথেষ্ট দাপটের সাথে এই জায়গাগুলির দায়িত্ব সামলে এসেছেন কেষ্ট। গোরু পাচার মামলায় জেল হেফাজত হওয়ার পরই কেষ্টকে নিয়ে দলের এই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে কি ক্রমশ হ্রাস পেতে চলেছে অনুব্রতর ক্ষমতা? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষে বুধবার অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পর বিকেলে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে, বৃহস্পতিবার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে সিবিআই।
তবে হাসপাতাল চত্বর থেকে বেরিয়ে আসার সময় রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের যথেষ্ট ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কেষ্টকে। রোগীর আত্মীয়রা তাঁকে দেখে 'গোরু চোর' স্লোগান তোলে।
রোগীদের অভিযোগ, অনুব্রতকে হাসপাতালে আনার পরে জরুরি বিভাগের সামনে গার্ডরেল বসিয়ে অনেক রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক সময়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এক রোগীর পরিজনর কথায়, ‘‘গেট আটকে রাখায় প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে হাসপাতালে ঢুকতে পেরেছি।” যদিও রোগীদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন