বারংবার বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলার খেসারত দিতে হলো অনুপম হাজরাকে। সূত্রের খবর, গত ৫ ডিসেম্বর তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
কখনও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তো কখনও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অনুপম হাজরা। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির একাংশ। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অনুপম ইস্যুতে একদমই চুপ ছিলেন। বিবাদ এতটাই চরমে উঠেছিল যে কলকাতায় অমিত শাহ-র সভাতেও দেখা যায়নি অনুপমকে। যদিও অনুপমের অভিযোগ ছিল, কেউ তাঁকে সভার কথা জানায়নি। তাই ওই সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দলগত ভাবে বিজেপি কোনো ব্যবস্থা না নিলেও প্রশাসনগতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং। গত ৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে নাকি বিজেপি নেতাকে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। তবে এবিষয়ে কিছুই জানাননি অনুপম হাজরা।
প্রসঙ্গত, গত বছর সুকান্ত মজুমদারকে ব্যক্তিত্বহীন বলে কটাক্ষ করেছিলেন অনুপম। তিনি বলেছিলেন, সুকান্ত মজুমদারের কোনও ব্যক্তিত্ব নেই। যেভাবে সংগঠন চলছে, 'আবকি বার দুশো পার' স্লোগান আগে যেমন ৭৭ আসনেই আটকে গিয়েছে, আবারও সেটাই হবে। এই সংগঠন দিয়ে কিছুই হবে না। এরপরেও যদি কখনও ক্ষমতায় আসে, তাহলে বুঝতে হবে তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের বিতৃষ্ণার জন্য দল ক্ষমতায় এসেছে, বিজেপির সংগঠনের কারণে নয়।"
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে 'এসি ঘরের তোতাপাখি' বলেও কটাক্ষ করেছিলেন অনুপম। এছাড়া বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ার কথাও জানিয়েছিলেন। যেখানে ওই কর্মীরা নিজেদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন