গত দশ বছরে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে রাজ্যে আইনের শাসন নেই। নানা ঘটনার উদাহরণ দিয়ে সেটা স্পষ্ট করেছি। এমনটাই বললেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী। ভোট-পরবর্তী হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তে এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। তাদের রিপোর্ট নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, 'রক্ষক ভক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যারা অপরাধী তাদের মাথায় প্রশাসন, শাসকদলের হাত রয়েছে।' তাঁর অভিযোগ, অপরাধীরা পুলিশের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিপর্যস্ত মানুষ আইনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
বাম নেতা বলেন, ডিজিপির রিপোর্টে বলা হয়েছে এটেম্পট টু রেপ বা সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট, যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, তার মাত্র চার শতাংশ কাস্টডিতে আছে। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১২% গ্রেফতার হয়েছে, অথচ ভিতরে রয়েছে ১.৮%। তিনি মনে করেন, কোর্টের মনিটরিংয়ে তদন্ত হওয়া জরুরি। কারণ সিআইডি বা সিবিআই, কেউ যথাযথ ভূমিকা নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বাম নেতার। কারণ, সিআইডি রাজ্যপুলিশের কথায়, আর সিবিআই কেন্দ্রের কথায় উঠছে বসছে।
উপনির্বাচন প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'সময়মতো নির্বাচন হোক। এটাই আমরা সবসময় চাই, চেয়ে এসেছি। যতদিন পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট ছিল প্রতিটি নির্বাচন, পঞ্চায়েত, পুরসভা নির্দিষ্ট সময়ে হয়েছে।' প্রধানমন্ত্রীর যোগী প্রশংসা নিয়েও মুখ খোলেন সুজন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সচেতন মানুষ হাসবে। তারা বিপন্ন বোধ করবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা তাদের আরও কমবে।'
স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুকে 'হত্যাকাণ্ড' বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমি বলব এটা কাস্টডিয়াল ডেথ। কেন হল, কে তার উত্তর দেবে?' এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের রায় টেনে বামনেতার কটাক্ষ, বিরোধীদের স্বর পছন্দ হচ্ছে না বলে তাঁদের দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে দিল্লি সরকার। সুপ্রিম কোর্ট তা নস্যাৎ করে বলেছে কেন্দ্রের এই আইন পরিবর্তন করা উচিত। পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন