আনিস খানের দাদার উপর গভীর রাতে প্রাণঘাতী হামলা, পরপর ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

আনিস খানের বাবা জানিয়েছেন, আনিস হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী সালমান। সেই রাতে সালমানই আনিসকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তাই প্রমাণ লোপাট করার জন্য আক্রমণ করা হয়েছে তাঁর উপর।
আনিস খানের (ইনসেটে) দাদার উপর হামলা
আনিস খানের (ইনসেটে) দাদার উপর হামলাগ্রাফিক্স - নিজস্ব
Published on

আমতার নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের দাদার উপর প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় এই মুহূর্তে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে রয়েছে খান পরিবার। তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলছেন তাঁরা।

শুক্রবার গভীর রাতে আনিস খানের কাকার ছেলে সালমান খানের উপর আক্রমণ করা হয়। সালমানের বাবা জালেম খানের অভিযোগ, রাত ১.১৫ নাগাদ কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরেন সালমান। ১.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাথরুমে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই তাঁর উপর অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। সালমানের চিৎকারে বাড়ির সবাই এসে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছেন সালমান। তাঁর মাথার পিছন দিকে একাধিক আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা।

রাতেই প্রথমে তাঁকে বাগনান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় এরপর উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সালমান।

এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে খান পরিবার। নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা জানিয়েছেন, আনিস হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী সালমান। সেই রাতে সালমানই আনিসকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আনিস হত্যার ন্যায়বিচার চাওয়ার লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন সালমান। তাই প্রমাণ লোপাট করার জন্য আক্রমণ করা হয়েছে তাঁর উপর।

তাঁর পরিবারের আরও অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়েছে সালমানকে। হুমকির অভিযোগ নিয়ে নিরাপত্তার দাবিতে আমতা থানায় অভিযোগও করেছিলেন সালমান। স্থানীয় কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও নিরাপত্তা দেয়নি আমতা থানা।

হাসপাতালের সামনে রক্তাক্ত অবস্থাতেই সালমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে আগে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি, তাঁরাই এটা করেছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in