আবার সুর বদল করলেন বিজেপি নেতা চন্দ্র কুমার বসু (Chandra Kumar Bose)। 'নেতাজি'র ১২৬ জন্মজয়ন্তীর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পদ্ম ছেড়ে জোড়-ফুলের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র বসু।
গত সোমবার, রেড রোডে রাজ্য সরকারের নেতাজি স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির চন্দ্র বসু। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ভাষণও দেন তিনি। সেই থেকে জল্পনা বাড়ে- তাহলে কী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বড় সমর্থক এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী হবেন?
এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন স্বয়ং চন্দ্র বসু। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, 'বিজেপি (BJP) এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বি (B)-টিমে পরিণত হয়েছে। অনেকে প্রায়ই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি কেন এখনও সেই বি-টিমের সাথে আছি। তারা আমাকে জানায়, আমি যদি এ (A)-টিমে যাই, তবেই আমি সত্যিকারের মানবসেবা করতে পারবো।'
একইসঙ্গে তিনি জানান, 'কাজের সুযোগ অন্য দলে পেলে যাব। এখন তো সব দলই এক। আদর্শের তেমন বালাই নেই। রোটেশন পদ্ধতিতে নেতা বদল হচ্ছে। আর বি-টিমে থেকে লাভ কী? সুযোগ এলে এ-টিমে যাওয়ার কথা ভাবব।'
চন্দ্র বসু বলেন, 'যদি আমাকে একটি সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকভাবে ভেবে দেখবো।'
সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই (বিজেপি) দলের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রেখেছেন চন্দ্র বসু। গত সোমবার, শহীদ মিনারের সামনে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। এই অনুষ্ঠানে RSS প্রধান মোহন ভাগবত সহ একাধিক বিজেপি নেতা থাকলেও, ছিলেন না চন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে।
২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন চন্দ্র বসু। তাঁকে অভ্যর্থনা জানায় বিজেপির তৎকালীন সভাপতি অমিত শাহ। এরপর, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন বসু পরিবারের সদস্য চন্দ্র। পরাজিতও হন তিনি।
এরপর, ২০১৯ সালে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তাকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতির পদও দেওয়া হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন