ববিতা সরকারের চাকরি আসলে তাঁর প্রাপ্য! এই দাবিতে আদালতে যাচ্ছেন এক চাকরিপ্রার্থী

শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়ের অভিযোগ, মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ হলে ওই চাকরি তাঁর প্রাপ্য। কারণ ববিতা সরকারের অ্যাকাডেমিক স্কোর দুই নম্বর কমে গেছে।
ববিতা সরকার
ববিতা সরকারগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়। অঙ্কিতা অধিকারীকে সরিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। এবার অনামিকা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী দাবি করলেন, ববিতা সরকারের চাকরি আসলে তাঁর প্রাপ্য। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার। বর্তমানে তিনি মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি করছেন। সেই চাকরি নিয়েই জট। শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়ের অভিযোগ, মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ হলে ওই চাকরি তাঁর প্রাপ্য। কারণ ববিতা সরকারের অ্যাকাডেমিক স্কোর দুই নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। নম্বরের ব্যবধানে তালিকায় ২১ নম্বরে চলে যান অনামিকা। ববিতা সরকার তালিকায় ২০ নম্বরে চলে আসেন। তাই তাঁর চাকরি আগে হওয়ার কথা।

তিনি আরও বলেন, 'ববিতার নম্বর বেড়ে যাওয়াতে তালিকায় পিছিয়ে যাই আমি। নিয়ম অনুযায়ী চাকরি আমাকে দিতে হবে। কিন্তু আমি পাইনি। যদি আদালতে আমাকে লড়তে হয় লড়ব।' যদিও অনামিকার এই দাবির সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস্ রিপোর্টার।

ববিতা সরকার এই দাবির পাল্টা বলেন, অ্যাকাডেমিক স্কোর যে তাঁকে বেশি দেওয়া হয়েছে তা তিনি লক্ষ্য করেননি। এতে তাঁর কোনো ভুল নেই। রেজাল্টে যা নম্বর ছিল তাই দিয়েছিলেন তিনি। ভুল যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা কমিশনের।

ববিতা বলেন, 'আমাকে নম্বর তো কমিশন দিয়েছে। তারা কীভাবে সংশোধন করবে সেটা তাদের ব্যাপার। আদালতের নির্দেশে আমি চাকরি করছি। ভবিষ্যতেও আদালতের নির্দেশকেই মান্যতা দেব।' উল্লেখ্য, সমস্যার সূত্রপাত ববিতা সরকারের আবেদন পত্র ঘিরে। আবেদন পত্রে দেখানো হয়েছে, ববিতা স্নাতকে ৮০০-র মধ্যে পেয়েছেন ৪৪০, অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ। কিন্তু প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশ লেখেন ৬০-র একটু বেশী। শতাংশের ওপর ভিত্তি করেই কমিশনের তরফ থেকে তাঁকে অ্যাকাডেমিক স্কোর দেওয়া হয়। প্রাপ্ত নম্বরের (৪৪০/৮০০) শতাংশ অনুযায়ী স্কোর দিলে ২ নম্বর কমে যাবে। সেক্ষেত্রে অনামিকা রায়ের দাবি যুক্তিযুক্ত।

কমিশনের দাবি, ববিতা সরকারের নথি দু’বার খতিয়ে দেখা হয়। খতিয়ে দেখেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের নর্দার্ন রিজিয়ন। তবে ববিতা সরকারের নথি যাচাইয়ের সময় কমিশনের ডেটা রুম আদালতের নির্দেশেই বন্ধ ছিল। এখন আদালত যা রায় দেবেন সেটাই মানা হবে।

ববিতা সরকার
বৈধভাবেই হয়েছে চাকরি! - হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে দাবি আরও ৮৮ শিক্ষকের
ববিতা সরকার
উজবেকিস্তানে শিশু মৃত্যুর জের, বন্ধ হয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের সেই কোম্পানির সমস্ত উৎপাদন

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in