পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণার এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে ব্যালট পেপার। এবার মালদহের গাজোল ব্লকের ডিসিআরসি থেকে উদ্ধার হলো ব্যালট পেপার ভর্তি তিনটি ব্যালট বক্স।
নিয়মানুযায়ী গণনার সময় সমস্ত বৈধ ব্যালট গুনে প্রার্থীদের ভোটের ফল জানাতে হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, ডিসিআরসি থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি ব্যালট বক্সে ভর্তি রয়েছে ব্যালট পেপার। সেগুলো গণনার সময় খোলাই হয়নি। এত ব্যালট পেপার না গুনে কীভাবে কোনো প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হলো? কার মদতে এই বেআইনি কাজ হলো তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে বিরোধীরা। যদিও গণনার দিন দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা এই বিষয়ে কোনো উত্তর দিতে চাননি।
মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জানিয়েছেন, "গাজোলের হাজি নাকু মহম্মদ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকাল তিনটি ব্যালট বক্স উদ্ধার হয়েছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ডুপ্লিকেট ব্যালট বক্সের গণনা হয়েছে। খুঁজলে আরও অনেক ব্যালট বাক্স পাওয়া যেতে পারে।" বিজেপির তরফ থেকে বিডিও অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিডিও-র কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বর্তমানে।
অন্যদিকে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে মাথাভাঙা নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে বৈধ ব্যালট পেপার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এক শিশু সকালে ওই ব্যালট পেপারগুলো দেখতে পায়। ওই শিশুই খবর দেয় স্থানীয়দের। পরে ঘটনাস্থলে যান সকলে। উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারগুলিতে বিজেপি ও সিপিআইএম-র প্রতীকে ছাপ দেওয়া রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের হার নিশ্চিত জেনেই এই কাজ করা হয়েছে। বেছে বেছে বিরোধীদের প্রতীকে ছাপ দেওয়া ব্যালট পেপার উদ্ধার হবে কেন তাহলে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন