ব্যাঙ্কে হামলা চালানোর অভিযোগে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল থানায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ আগস্ট বারুইপুরের খাসমল্লিক এসবিআই শাখায়। অভিযুক্তের নাম নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
অভিযোগ, ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ হরিহরপুরের কাজীপাড়ার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা রাবিয়া বাঁশুরির স্বামী ওবেইদ ব্যাঙ্কে ঢুকে কর্মীদের গালিগালাজ, অভব্য আচরণ করে। একজন মহিলা কর্মীর সঙ্গেও অভব্য আচরণ করে। ঘটনাস্থলে ছিলেন ব্যাঙ্কেরই এক প্রাক্তন কর্মী। তিনি পুরো ঘটনাটি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। তা দেখে তাঁর উপরে চড়াও হয়ে অভিযুক্ত ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকবার তাঁকে চড়ও মারছে অভিযুক্ত। রবিবার রাতে এসবিআই অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে জানা গিয়েছে, ওবেইদ শেখের নামে লিখিত অভিযোগ জমা পড়লেও পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর নাম ওয়াইদুল রহমান। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ওবেইদ শেখ নামে পরিচিত। তাই অভিযোগপত্রে সেই নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
রাবিয়া বলেন, রাজ্য সরকারের ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্পে নাম তোলার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তার প্রতিবাদ জানাতে বেলা ৩ টের সময় আমরা সেখানে যাই। কিন্তু আমাদের জোর করে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়।
অভিযুক্ত ওয়াইদুল বলেন, হাতাহাতি বা মারধর হয়নি। বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নিয়েছি। তবে ওরাও মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন খারাপ ব্যবহার করছিল। বিষয়ে বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মারধর হয়েছে বলে শুনিনি। এরকম হলে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর আরও সংযত হওয়া উচিৎ।
তবে ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে মানুষকে হয়রান করার অভিযোগও আছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন