মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল ময়নাগুড়িতে। বকেয়া টাকা না মেলায় বিডিও অফিসের সামনেই কীটনাশকের সাথে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক হোটেল ব্যবসায়ী। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসের পাশে নিজের বাড়িতেই খাবারের হোটেল চালান ব্যবসায়ী গৌতম দাস। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সাল থেকে BDO অফিসে খাবার সরবরাহ করেন গৌতম দাস। কিন্তু অফিস থেকে খাবারের টাকা মেটানো হয়নি। তিনি ভেবেছিলেন টাকা মিটিয়ে দেবেন আধিকারিকেরা। তাই খাবার দেওয়া বন্ধ করেননি।
প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা বকেয়া মেটানো হয়নি বিডিও অফিস থেকে। অন্যদিকে হোটেলের ইলেক্ট্রিক বিল মেটাতে না পারায় ইলেকট্রিক অফিস থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়। একাধিক বার পাওনা টাকার দাবি করেও তিনি টাকা উদ্ধার করতে পারেননি। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে বুধবার সকালে প্রেসার ও ঘুমের ওষুধের সাথে কীটনাশক খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিডিও অফিসের কর্মচারীরাই তাঁকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গৌতম বাবুর কাছে থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। হোটেলের প্যাডেই তিনি লিখেছেন, বকেয়া টাকা না মেলাতেই আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিচ্ছেন। তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন ময়নাগুড়ির বিডিও অফিস।
অবশ্য বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গৌতম বাবু বকেয়া টাকার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেন নি। মৌখিকভাবে দাবি করলে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন