বিভিন্ন জায়গায় বিডিওদের বদলি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল যে যে ব্লকগুলিতে ভালো ফল করেনি বা পরাজিত হয়েছে সেই ব্লকের বিডিওদেরই বদলি করা হচ্ছে। যদিও সরকারের দাবি, নিয়ম মেনেই রুটিন বদলি করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে গেলেও এখনও আদালতে একাধিক মামলা চলছে। গণনাপর্বে নানা অব্যবস্থা-গাফিলতির কারণে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে একের পর এক বিডিও ভর্ৎসিত হচ্ছেন। এরই মধ্যে বিজেপি অভিযোগ করছে, তৃণমূলকে জেতাতে না পারায় বিডিও ও সরকারি আধিকারিক মিলিয়ে মোট ১৬ জনকে বদলি করেছে নবান্ন।
বিজেপই আরও অভিযোগ, নদীয়ার শান্তিপুর ও বাঁকুড়ার সোনামুখীতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি তুলনামূলক ভালো ফল করেছে। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির ২৯টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে রয়েছে ১৬টি আসন এবং তৃণমূল পায় ১৩টি আসন। সব ঠিক থাকলে এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নদীয়ার ১৮টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে একমাত্র শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিই তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। এই কারণে এখানকার বিডিও প্রণয় মুখার্জিকে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করা হয়েছে।
বাঁকুড়ার সোনামুখীতে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪টিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি। সেখানকার বিডিও দেবলীনা সর্দারকে মালদায় বদলি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মালদার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, বিডিওদের রুটিন বদলি করা হয়। এক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম মানা হয়েছে। তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের কটাক্ষ করেছে বিডিওদের বদলি নিয়ে। তাদের দাবি, বিরোধীরা জিতেছে মানে গণতান্ত্রিক উপায়েই ভোট গ্রহণ হয়েছে। এখানে রাজনীতির কোনো প্রশ্নই নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন