গণনাতে কারচুপির অভিযোগ তুলে মধ্যরাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠলো ভাঙড়। পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধে চার আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। চলছে টহলদারি।
ভাঙড় ২ ব্লকে কাঠালিয়া কাউন্টিং সেন্টারের সামনে মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। আইএসএফ সূত্রে জানা গেছে, গণনা কেন্দ্রে জেলা পরিষদের ভোট গণনা চলছিল। তাঁদের জেলা পরিষদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন ৫ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু তাঁকে সার্টিফিকেট দেওয়ার আগেই হঠাৎ সাড়ে ১২ টা নাগাদ বিডিও জানান, ৩৬০ ভোটে হেরে গিয়েছেন জাহানারা খাতুন।
তৎক্ষণাৎ ফের গণনার দাবি তোলে আইএসএফ। কিন্তু তৃণমূল তা করতে নারাজ। সেইসময় গণনা কেন্দ্রে ছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। মুহূর্তের মধ্যে এই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা শুরু হয়।
আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, প্রশাসনের সঙ্গে ‘সেটিং’রয়েছে তৃণমূলের। তাই তাঁরা জয়ী হওয়ার পরেও তাঁদের সার্টিফিকেট না দিয়ে তৃনমূলকে জয়ী ঘোষণা করেছে বিডিও।
গণনাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আইএসএফ কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে তাঁদের। পুলিশের বিরুদ্ধে আইএসএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ‘গণশক্তি সারাক্ষণ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুলিবিদ্ধ হয়ে চার আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও অসমর্থিত সূত্রে খবর, ৬ জন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
অন্য দিকে পুলিশের অভিযোগ, আইএসএফ কর্মীরা তাদের দিকে বোমা ছুড়েছে, গুলি চালিয়েছে। বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার মাকসুদ হাসান। গুলি লেগেছে তাঁর দেহরক্ষীর পায়েও। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
সকালে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে টহলদারি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন