২৬ জুন জিটিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের বিরোধিতা করে আজ থেকে পাহাড়ে আমরণ অনশনে বসলেন গুরুং।
প্রথম থেকেই জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) নির্বাচনের বিরদ্ধে ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে চিঠি লিখে নির্বাচন বন্ধ রাখতেও অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু তা সত্বেও গতকাল নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। এরপরই অনশনে বসার কথা জানান গুরুং।
অনশনে বসার আগে এক সংবাদমাধ্যমে বিমল গুরুং জানান, "গতকাল সাংগঠনিক বৈঠক করা হয় যাতে বিভিন্ন নীতি, জিটিএ নির্বাচনের পিটিশন, ভবিষ্যতের রাজনীতির প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করা হয়। পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি অনশনে বসব। সকাল ১১ টা থেকে অনশনে বসব। জিটিএর বিরুদ্ধে ও ৩৯৬টি মোর্চাকে যুক্ত করার জন্য যে কথা দিয়েছিলাম তা রাখার জন্যই অনশনে বসব। সরকার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতি কতটা দায়বদ্ধ অথবা আমরা যে জোটবন্ধন পালন করেছি এবং এখনও করে চলেছি, সেটা কতটা বিশ্বস্ত তা এখনও পর্যন্ত দেখা হয়নি"।
অনশনে বসে বিমল বলেন, 'জাতির জন্য আহুতি দিয়েছি আগেও। আমার সর্বস্ব চলে গিয়েছে এই গোর্খা জাতির জন্য। অবশিষ্ট রয়েছে প্রাণটুকু। সেটাও লুটিয়ে দেব আমরণ অনশনে।’
এই সিদ্ধান্তের পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে তাহলে বিমল গুরুঙ্গের সাথে তৃণমূলের সম্পর্কে কী ফাটল ধরছে?
অন্যদিকে জিটিএ নির্বাচনে বিজেপিও অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। সেই নির্বাচনে কী তাহলে বিজেপি আর গোর্খাজনমুক্তি মোর্চাকে একসাথে লড়তে দেখা যাবে? না কী এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো সমীকরণ। এই নিয়েও জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও বিজেপির অংশগ্রহণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিমল গুরুং।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম ও শেষ জিটিএ নির্বাচন হয়েছিল ২০১২ সালে। ২০১৭ সালে মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও নির্বাচন হয়নি। বর্তমানে সরকারের প্রশাসক দিয়েই জিটিএ বোর্ড চালনা করা হচ্ছে। আগামী ২৬ জুন ৪৫টি আসনে ভোট গ্রহণ হতে চলেছে। জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল কমিশনার জানান, চলতি মাসের ২৭ তারিখ জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। নোটিশ জারি করবেন দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ের মহকুমা শাসকরা। আর তারপর থেকেই শুরু হবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। এক সপ্তাহ ধরে মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু থাকবে। তারপর স্ক্রুটিনি হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য দুদিন সময় দেওয়া হবে। তারপর ২৬ জুন নির্বাচন। নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ২৯ জুন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন