আগামী ১৬ নভেম্বর, শনিবার বীরভূম জেলার কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেই বৈঠকের আগে নিরাপত্তা বাড়ল বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, এবার থেকে কাজল শেখ পাবেন ওয়াই প্লাস পর্যায়ের নিরাপত্তা। কোর কমিটির বৈঠকের আগে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গরু পাচার মামলায় দু’বছর তিহার জেলে থাকার পর পুজোর আগে জামিন পেয়ে নিজের জেলা বীরভূমে ফিরেছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তবে এখনও তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরেননি। অন্যদিকে, অনুব্রতর জেলবন্দি থাকাকালীন বীরভূমে কাজল শেখের আধিপত্য বেড়েছে। বীরভূম রাজনীতিতে অনুব্রত-কাজলের দ্বন্দ্ব তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বে কাছে পরিচিত। এই পরিস্থিতিতে কোর কমিটির বৈঠকের আগে কাজল শেখের নিরাপত্তা বাড়িয়ে জেলার রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব বোঝানো হল বলেই মত অনুব্রত অনুরাগীদের একাংশদের।
২০২২ সালের ১১ আগষ্ট গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতারীর পর তাঁকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো না হলেও জেলার রাজনীতি পরিচালনার জন্য একটি কোর কমিটি তৈরি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে কাজল ছাড়াও রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং যুবনেতা সুদীপ্ত ঘোষ।
কোর কমিটির নেতারাই পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোট পরিচালনার কাজ করেছেন। লোকসভা ভোটে ২০১৯ সালের চেয়ে জয়ের ব্যবধান বেড়েছে এই জেলার তৃণমূলের দুই সাংসদের। অন্যদিকে, কাজল শেখ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আস্থাভাজন’ হিসেবেই পরিচিত। তাই বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত নিজের পুরনো জায়গা ফিরে পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
এই আবহে শনিবার কোর কমিটির বৈঠকের আগে কাজল শেখের নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে আরও জল্পনার জন্ম দিল। যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছুই বলেননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন