বিজেপিতে হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ অব্যাহত। এবার বীরভূম বিজেপিতে সেই বিদ্রোহের আঁচ পড়ল। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে একসঙ্গে বেরিয়ে গেলেন বীরভূম জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি এবং জেলা সম্পাদক। এই দুই বড় মাপের নেতার গ্রুপ ত্যাগে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া ব্রিগেড।
বিজেপি-র বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি উত্তম কুমার রজক এবং বীরভূমের জেলা সম্পাদক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বুধবার রাতে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। সূত্রের খবর, বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার সঙ্গে তাঁদের মতপার্থক্য চরমে উঠেছিল। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল। আর সম্ভবত সেই কারণেই উত্তম কুমার রজক এবং অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে বীরভূম বিজেপিতে ভাঙন চলছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও চরমে। সম্প্রতি দলের জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়া দুই নেতা অবশ্য তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এখনও স্পষ্ট করেননি।
উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে রবিবারই ‘লেফট’ করেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। এর আগে এইভাবে গ্রুপ ত্যাগ করেছেন বিজেপির পাঁচ মতুয়া বিধায়ক, রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া সায়ন্তন বসু ও বিশ্বপ্রিয় চৌধুরী, খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এমনকী খোদ সাংসদ কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও বিজেপির সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন।
তবে এসব ঘটনায় খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি কিছুদিন আগেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'আমিও মাঝে মাঝে ভাবি গ্রুপ লেফট করি? তাহলে খবর হবে। সংবাদমাধ্যমের নজরে আসব। এর চেয়ে বেশি কিছু হবে না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন