সায়ন্তন বসুর পর বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী। দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সেই পথে হেঁটে সহ-সভাপতি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন। বিজেপির রাজ্য কমিটির রদবদলের জেরে দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল সায়ন্তন বসুর। তাঁর ২৪ঘণ্টার মধ্যেই সদ্য পদ খোয়ানো বিশ্বপ্রিয় গ্রুপ
ছাড়লেন। তিনি নবদ্বীপ জোনের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকলেও নদিয়া জেলার দলের গ্রুপও ছেড়েছেন বলে খবর।
তবে কী এই দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি নেবেন বিশ্বপ্রিয়? দলের অন্দরে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। শুধু তাঁরা নন, পদ হারিয়েছেন আরও এক সহ-সভাপতি রীতেশ তিওয়ারিও। তিনিও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। সূত্রের খবর, এঁরা সকলেই প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আর নতুন রাজ্যকমিটি থেকে এই নেতাদের বাদ পড়াকে দলের একাংশ ভালোভাবে নেয়নি।
নতুন রাজ্য কমিটিতে বহু মুখের রদবদল ঘটেছে। সেই তালিকায় সায়ন্তন বসু, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, রীতেশ তিওয়ারি, সংঘমিত্রা চৌধুরীরা যেমন আছেন, তেমনই আছে আর বহু মুখ। আর সেই তালিকায় নজির রাখলেই দেখা যাচ্ছে যে, দিলীপ ঘনিষ্ঠ বলে রাজনৈতিক মহলে পরিচিতদের পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে তা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নও উঠেছে দলের অন্দরে। যে মুখগুলিকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যেমন সায়ন্তন, প্রতাপ, রীতেশ, সংঘমিত্রা – এঁরা প্রত্যেকেই রাজ্য বিজেপি সংগঠন তৈরির শুরু থেকে দলের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁদের অবদানও যথেষ্ট। যেখানে গোটা রাজ্যে কলকাতা পুরসভা বাদে বাকিগুলিতে ভোট সামনের বছরের শুরুতেই, তার ঠিক আগে নতুন কমিটির সদস্যরা কীভাবে সবটা বুঝে নিয়ে নির্বাচনের কাজ সামলাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তনরা।
যদিও বাদ পড়া নেতাদের কেউই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তবে নবদ্বীপের পর্যবেক্ষক থাকছেন কিনা, তার জবাবও মেলেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন