গত অক্টোবরে কাটোয়ার দাঁইহাটে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ভাঙচুর, মারামারি ঘটনায় অভিযুক্ত দলের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হল। বিজেপির কাটোয়া জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ একথা ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, ১৪ জন নেতার কাছে পাঠানো হয়েছে সতর্কবার্তা।
বহিষ্কৃত নেতা মৃণাল দাস, সেন্টু পাসওয়ান, চঞ্চল মণ্ডল ও আনন্দ তালুকদারকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সতর্ক নোটিশ পাঠানো হয়েছে সমীর মণ্ডল, শান্তনু ঘোষ, কার্তিক পাল, দেবব্রত পাল, নীতিশ ঘরামি, অমিত কুমার মণ্ডল-সহ ১৪ জনকে।
কৃষ্ণ দাসের বক্তব্য, দলীয় কর্মী-নেতাদের ক্ষোভ, অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু তা দলের সাংগঠনিক বৈঠকে বলা যায় না। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আরও কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না দল।
বিজেপির ওই বৈঠকে কার্যালয়ে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সভাপতি প্রথমবার এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। অভিযোগ, এই বৈঠকটি বেলা তিনটে থেকে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ সকাল ১১টা থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে তা সারার চেষ্টা করেন জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের একাংশ। যদিও তাঁর বিশ্বাস, ‘এরা বিজেপির কর্মী নয়। বিজেপির পতাকা নিয়ে কেউ বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুর করতেই পারে না।’
ওইদিন বিজেপি কার্যালয়ে চেয়ার ভাঙচুর, ধাক্কাধাক্কি, বিজেপির পতাকা লাগানো লাঠি দিয়ে দলীয় কর্মীদেরই মারামারি — সবই হয়। যদিও বিক্ষোভকারীরা জানান, আমাদের কোনও ভাঙচুর হয়নি। প্রতিবাদ একটু চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ৬৮ জন কর্মী আহত হয়েছেন, ২৬টা বাড়ি, ৭টি গুমটি ভাঙচুর হয়েছে। জেলা সভাপতি ও মণ্ডল সভাপতিরা তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমাদের যাঁরা কর্মী সকলেই ঠিক আছেন। কিছু উটকো লোক বিজেপি ক্ষমতায় আসবে ভেবে এসেছিলেন। বিরোধী পক্ষের রাজনীতি করাটা খুব কঠিন।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন