দলের বিক্ষুব্ধ নেতদের বিরুদ্ধে পাল্টা নালিশ ঠুকে দিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। ফলের বঙ্গ বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব যে ক্রমশ জটিল হচ্ছে, তা আরও একবার প্রকাশ্যে এল। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও দলের আরও বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।
শুধু তাই নয়, নালিশের পাশাপাশি অমিতাভ চক্রবর্তী কিছু ভিডিও ও ছবি পাঠিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেই শহরজুড়ে হোর্ডিং পড়েছিল। সেই ছবি ও ভিডিও তিনি দিল্লিতে মেল করেছেন বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসের বৈঠকে কোন বিক্ষুব্ধ নেতারা উপস্থিত ছিলেন, তার একটি তালিকা দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আবার একটি সূত্র দাবি করেছে যে, দিল্লি থেকে অমিতাভ চক্রবর্তীকে বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে যে, এখন উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সবাই ব্যস্ত। তাই এই মুহূর্তে সবটা খতিয়ে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপির শাসক গোষ্ঠীও।
এই তালিকায় কারা আছেন, কারা মদত দিচ্ছেন, সেই তালিকা নাড্ডা ও বিএল সন্তোষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সবুজ সংকেত দিলেই ওই রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতারা দেখবেন। বিক্ষুব্ধ শিবিরের বৈঠক, প্রকাশ্য বিবৃতি, সব তথ্য-প্রমাণ দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর দক্ষিণের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি হরিশংকর সরকারের বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। মূল আয়োজক ছিলেন শান্তনু ঠাকুর। তাতে অংশ নেন বিক্ষুব্ধরা। তালিকায় ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিসকুমার বিশ্বাস, সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারি।
আর এই পিকনিক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। শীতের মরশুমে নিছক আনন্দে মেতে উঠতে যে এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে, তা মানতে চান না কেউই। যদিও তাঁদের দাবি, এই সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন