২০১৪ থেকে TMC-র দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে BJP, আদালতের নির্দেশে এখন তদন্ত হচ্ছে - সেলিম

তিনি বলেন, মমতা এবং নাগপুরের সমঝোতায় দিল্লি থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মত ইডি এবং সিবিআই-কে নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্র। সেই কারণেই তদন্ত ধীরে চলছে।
মহম্মদ সেলিম
মহম্মদ সেলিম নিজস্ব চিত্র
Published on

পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বেশি করে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক হাড়হিম করা ঘটনা। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে সন্ধান মিলছে তাজা বোমার। পাশাপাশি ঘটছে বোমা বিষ্ফোরণের মত সাংঘাতিক ঘটনাও। বুধবার মিনাখাঁয় এমনই এক বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে একরত্তি শিশু। যার জেরে শাসকদল তৃণমূল এবং পুলিশ প্রশাসনকে এক হাত নিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

বৃহস্পতিবার রানিগঞ্জে সিপিআই(এম) পশ্চিম বর্ধমান জেলার দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন সেলিম। উত্তর চব্বিশ পরগণার মিনাখাঁয় বোমা বিষ্ফোরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন - দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের মেলবন্ধনে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে পশ্চিমবঙ্গে। দুর্নীতিবাজ দুষ্কৃতিদের নেটওয়ার্কে লুট হচ্ছে রাজ্যে। আইনের শাসন থাকলে কোনও সভ্য দেশে এভাবে বেআইনি বোমা, বন্দুক মজুত রাখা যায়? পুলিশমন্ত্রী ও তাঁর পুলিশ কতটা অপদার্থ হলে এমন ঘটতে পারে!

সেলিমের কথায় - প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, প্রাণ হারাচ্ছে দশ বছরের শিশুও। বগটুই, আমতা, মিনাখাঁ সহ সর্বত্র প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছেন। বগটুইয়ে তৃণমূল যখন নিজের কর্মীদের পুড়িয়ে মারল, তখন অনুব্রতকে সাক্ষ্মী রেখে মমতা ব্যানার্জী ডিজি-এসপিদের বলেছিলেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেআইনি অস্ত্র কারখানাগুলিতে যত অস্ত্র এবং মজুত বোমা আছে তা উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু এখনও বেআইনি বোমা, অস্ত্রে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে।

একের পর এক বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা উল্লেখ করে সিপিআই(এম) নেতা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে বলে বোমা মজুত করতে হবে? বাসন্তীর বোমা কারখানায় বিষ্ফোরণের ঘটনা পুলিশ চাপা দেওয়া চেষ্টা করেছিল। আমতার ঘটনাতেও একই চিত্র দেখা গেছে। মিনাখাঁর ঘটনাও চাপা পড়ে যেত, যদি না বামপন্থী কর্মীরা বুধবার রাতেই সেখানে যোগাযোগ করে সকালে না পৌঁছাতেন। সাংবাদিকরা সত্যিটা বের করার পর, আসল রহস্য প্রকাশ্যে এসেছে।

এদিন তৃণমূলের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও তুলোধনা করেছেন সেলিম। মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি সরকার তৃণমূলের নানা দুর্নীতির অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে আদালতের নির্দেশ আসায় তদন্ত করাতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু মমতা এবং নাগপুরের সমঝোতায় দিল্লি থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মত ইডি-সিবিআইকে নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্র। সেই কারণেই তদন্ত ধীরে চলছে।

মহম্মদ সেলিম
Cow Smuggling: চার পাতার প্রশ্নবাণ! অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসানসোল জেলে ইডি
মহম্মদ সেলিম
'MP বলে আমার ব্যাটাকে মেরে ফেলল' - TMC সাংসদের বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ
মহম্মদ সেলিম
চুরির অভিযোগ! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আদালতের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in