বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের একটা বড় অংশে ক্ষোভ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। নেতৃত্বের কোনও না কোনও কর্মকাণ্ডে তা প্রায়ই প্রকাশ্যে চলে আসছে। বরাবরই বিজেপির ভোট ব্যাংকের শক্তিশালী অংশ মতুয়ারা। আর সেই মতুয়া ভোটব্যাংকে হারানোর আশঙ্কা করছে গেরুয়া শিবির। এর পেছনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর আছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রবিবার সন্ধ্যায় সেই শান্তনুর বাড়িতেই বৈঠকে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা যোগ দেন। ছিলেন সদ্য পদ খোওয়ানো সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ আরও অনেকে। তবে বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু কি ছিল, তা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি।
বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের আঁচ বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক এখন বজায় রয়েছে। তবেে শুধুমাত্র গত কয়দিন নয়় বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির রাজ্য ও জেলা কমিটি নিয়ে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে। মূলত নতুন করে জেলা কমিটি গঠনের পরই এই অসন্তোষ বাড়ছে। যে নেতা কাজ করেছেন, যাঁকে সবাই চেনেন, তাঁকে দায়িত্ব না দিয়ে যাঁদের দায়িত্বে আনা হয়েছে, তাঁদের আসলে কেউ চেনেন না। নয়া দুই কমিটির সদস্য তালিকা প্রকাশের পরই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক দেখা দিয়েছে।
কমিটিতে মতুয়াদের যথেষ্ট প্রতিনিধি নেই বলে অভিযোগ তুলে গ্রুপ ছেড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচ বিধায়ক - অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার এবং অম্বিকা রায়। গ্রুপ ছাড়েন শান্তনু ঠাকুরও। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে দেন ‘আল্টিমেটাম’ও। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও।
বঙ্গ বিজেপির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই শান্তনুর দিল্লি যওয়ার কথা। জানা যাচ্ছে, তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর দায়িত্ব পড়েছে বঙ্গ নেতৃত্বে কোন্দলের আসল কারণ খুঁজে বের করা। রাজ্য কমিটিতেও অনেক সক্রিয় নেতা-কর্মীর বাদ পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে শান্তনুর বাড়িতে বৈঠকে হাজির বর্তমান জেলা কমিটিরও বেশ কয়েকজন সদস্য। এমনটাই জানা গিয়েছে। ফলে জল্পনা আরও বেড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন