সম্প্রতি প্রথম পর্যায়ে লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার মধ্যে বাংলার ২০ টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই তালিকায় নাম নেই আলিপুরদুয়ারের বর্তমান সাংসদ জন বার্লার। তার জায়গায় এবার প্রার্থী করা হয়েছে মনোজ টিগ্গাকে। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী না হতে পারায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জন বার্লা।
একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জন বার্লা জানিয়েছেন, ‘‘মনোজ টিগ্গার কথার উপর বিশ্বাস করে শুভেন্দু আমায় বললেন, ‘তোমার সংগঠন ভেঙে গিয়েছে’।’’ তার পরেই তাঁর প্রশ্ন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী এ কথা কী করে বলেন?’’ মনোজের হয়ে প্রচার করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন বার্লা।
এবারে লোকসভাতে টিকিট না পাওয়ার পেছনে শুভেন্দুকেই দায়ী করছেন জন বার্লা। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু আর মনোজ টিগ্গাই মূল কালপ্রিট। শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। সে জন্য চান, ওঁর হাতে বেশি সাংসদ এবং বিধায়ক থাকুন। যাতে দর কষাকষি (বার্গেন) করতে সুবিধা হয়।”
আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের চা বলয়গুলোর উপর ‘ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’ বা ‘বিটিডব্লিউইউ’-এর একটা বড় প্রভাব রয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা। সেই সংগঠনের চেয়ারম্যান জন বার্লা। তাই জন বার্লার এই ক্ষোভ ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন জলপাইগুড়ির বানারহাটে সংগঠনের নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেন বার্লা। বৈঠক শেষে তাঁর অভিযোগ, ‘‘মনোজ টিগ্গা ছল করে ও আমায় বদনাম করে টিকিট নিয়েছেন। মানুষ সেটা মানছেন না। আদিবাসীরাও মানছেন না। উনি বিটিডব্লিউইউ-ও ভাঙার চেষ্টা করেছেন। ভাঙতে পারেননি। অথচ, মনোজের কথায় ভরসা করে শুভেন্দু অধিকারী আমায় বললেন, ‘তোমার সংগঠন ভেঙে গিয়েছে’।’’ শুভেন্দুকে বার্লার চ্যালেঞ্জ, ‘‘এখানে এসে দেখুন, কার সংগঠন রয়েছে। মনোজ টিগ্গার, না আমার?’’
যদিও মনোজ টিগ্গা এই নিয়ে পাল্টা বলেন, “উনি প্রার্থী হননি বলেই এমন বলছেন। আর কেউ কাউকে কালপ্রিট বললেই তিনি যে কালপ্রিট হয়ে যান না, সেটা যিনি অভিযোগ করছেন, তাঁকে মনে রাখতে হবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন