আগামী ১০ জুলাই উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় দল থেকে পদত্যাগ করলেন বাগদার দুই বিজেপি নেতা। যার ফলে ভেঙ্গে গেল বিজেপির মন্ডল কমিটি। উপনির্বাচনের আগে বাগদাতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
একুশের বিধানসভাতে বাগদা বিধানসভা থেকে জিতে বিধায়ক হন বিজেপির বিশ্বজিৎ দাস। পরে অবশ্য তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী করে তাঁকে। প্রার্থী হওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। আপাতত ওই বিধানসভা কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য। আগামী ১০ জুলাই ওই কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন।
উপনির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে। তাঁর বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী করেছে বিনয়কুমার বিশ্বাসকে। আর সেই প্রার্থী নিয়েই অসন্তোষ শুরু হয় বাগদা বিজেপির অন্দরে। শোনা যাচ্ছে, এই প্রার্থী ‘বহিরাগত’, তাই তাঁকে কেউ মেনে নিতে চায়নি।
বিজেপি বিক্ষুব্ধরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রার্থী বদল না করলে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে শীর্ষ নেতৃত্বকে। এমনকি নির্দল হয়ে লড়ারও হুমকি দেন তাঁরা। আর তার ২৪ ঘন্টা কাটতেই পদক্ষেপ নিলেন। পদত্যাগ করলেন বাগদা ২ মন্ডলের সভাপতি সমীর কুমার বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিময় দাস। ফলে ভেঙে যায় মন্ডল কমিটি।
সমীর কুমার বিশ্বাস বলেন, “আমরা দাবি জানিয়েছিলাম বাগদার ভূমিপুত্রকে এবারে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু সেই জায়গায় অন্য একজনকে প্রার্থী করা হল। সেই কারণে পদত্যাগ করলাম।”
অন্যদিকে, বিজেপির এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। প্রার্থী নিয়ে ওদের নিজেদের মধ্যে মারামারি চলছে। উপনির্বাচনে ওদের ভরাডুবি হবে।”
রাজ্যের মোট চারটি বিধানসভা কেন্দ্র – উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা, কলকাতার মানিকতলা, রায়গঞ্জ এবং রানাঘাট দক্ষিণে উপনির্বাচন হতে চলেছে আগামী ১০ জুলাই। ভোট গণনা ১৩ জুলাই। উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ জুন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন