বিজেপির নতুন জেলা ও রাজ্য কমিটিতে প্রাধান্য পায়নি মতুয়ারা। তাই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মতুয়া ঘনিষ্ঠ পাঁচজন বিজেপি বিধায়ক। এই পরিস্থিতিকে এবার কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। ওই পাঁচজন দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করেছেন। তাঁদের রবিবার সকালে তৃণমূলে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বনগাঁর লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। সন্ধ্যায় তাঁদের তৃণমূলে আসার বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও।
অশোকনগর শহিদ সদনের নাট্যোৎসবে যোগ দেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, '৫ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের তৃণমূলে সুস্বাগতম।' বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, সকলে ওই দলটা থেকে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হন।
মন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঠাকুরবাড়িতে বড়মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সবটাই ভাওতা। একটা প্রতিশ্রুতি পালন করেনি বিজেপি।' তাতেই এখন মতুয়ারা ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে বলে তাঁর দাবি। মতুয়ারা বুঝতে পেরেছে তাদের প্রতারণা করা হয়েছে। তাই মতুয়া বিধায়ক তারা বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। আস্তে আস্তে বিজেপি ছাড়বেন বলছেন।
জ্যোতিপ্রিয়র মতে, পাঁচ বিধায়ক বুঝতে পেরেছেন বিজেপি দলটা শুধু ভাঁওতাবাজি করে। মতুয়াদের জন্য কেউ কিছুই করবে না। মতুয়াদের জন্য যা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করেছেন। প্রসঙ্গত, গত শনিবার নিজেদের পছন্দের জেলা সভাপতি নির্বাচিত না হওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন ৫ বিধায়ক। ওইদিন ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপির একাধিক পার্টি অফিস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন