বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজপি বিধায়ক অসীম সরকার। তাঁর নিশানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
সম্প্রতি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার মন্ডল স্তরে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। তাতেই অসন্তুষ্ট হরিণঘাটার বিজপি বিধায়ক অসীম সরকার। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, "মাননীয় সুব্রত ঠাকুর মহাশয় আমাকে বলেছিলেন মন্ত্রী মহাশয় (মাননীয় শান্তনু ঠাকুর) বাড়িতে এলে ২৭/৯/২৩ তারিখ আমাদের পাঁচজন এমএলএ-কে নিয়ে এক সঙ্গে ঠাকুর বাড়িতে বসে বৈঠকের পর সর্ব্ব সম্মতিক্রমে মন্ডল সভাপতি নির্ধারণ করা হবে। সবাইকে আমি সেই কথাই বলে দিয়েছিলাম। হঠাৎ করে কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই মন্ডল সভাপতিদের লিস্ট বেরিয়ে গেলো? ব্যাপারটা আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।"
তিনি আরও লেখেন, "সুব্রত ঠাকুরকে আমি ফোন করলে তিনি আমাকে বলেন, 'আর বসাবসি কিসের? যা হওয়ার তা হয়েই গেছে'। আমাদের বিধায়কদের এক পয়সাও মূল্য দিলো না ওরা। হরিণঘাটাবাসীর কাছে কী জবাব দেবো বুঝতে পারছি না।"
অসীম সরকার নিজের পোস্টে দেবদাস নামের এক ব্যক্তির উল্লেখ করেছেন। তিনি লেখেন, "দেবদাস দা আমাকে কথা দিয়ে বলেছিলেন জেলা কমিটি এবং মন্ডল কমিটি অবশ্যই লোকাল এমএলএ-দের পূর্ণ মতামত নিয়েই করা হবে। সেই দেবদাস দা এই ভাবে কথা নষ্ট করবেন আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারছি না।"
পাশাপাশি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি কতগুলি আসন জিততে পারবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর মতে এইভাবে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকলে খারাপ ফল হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাঁকুড়া বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি হাতে নিয়ে সুভাষ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। এমনকি কয়েকঘণ্টা দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে তালাবন্দি করে রেখেছিলেন দলেরই কর্মীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন