হোয়াটসঅ্যাপের পর ফেসবুক। বিজেপির বিদ্রোহ ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতদিন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করছিলেন। আর এবার ফেসবুকে পোস্ট করে ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায় জানালেন, তিনি নিজেকে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
তাঁর এই পোস্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মূলত শুরু ও শেষের অংশের জন্য। পোস্টের শুরুতে তিনি লিখেছেন, ‘মু মে রাম নাম, বগলমে তিনকা।’ আর শেষ হয়েছে ‘জয় শ্রীরাম’ দিয়ে ৷ মাঝখানে তিনি লিখেছেন, ‘সমাধান না হয়, সেই পর্যন্ত, সব রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে নিজেকে বিরত রাখতে বাধ্য হলাম। '
যেহেতু কীসের সমাধানের প্রসঙ্গ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দেননি। পোস্টের শুরু ও শেষের অংশ নিয়েও ব্যাখ্যা দেননি। ফলে রাজনৈতিক জল্পনা ছড়িয়েছে। এই ফেসবুক পোস্টে কথা প্রকাশ্যে আসতেই তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেছেন সম্ভবত।
বিধায়কের দাবি, এই পোস্টের সঙ্গে দলীয় রাজনীতি গুলিয়ে ফেলার কোনও অর্থই হয় না। করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই আপাতত দলীয় কর্মসূচি বা অন্য কোনও মিটিং মিছিলে না গিয়ে মানব সেবায় নিজেকে আরও বেশি করে যুক্ত রাখবেন।
বঙ্গ বিজেপির বাস্তব চিত্র খানিকটা অন্যরকম অবশ্য। দক্ষিণবঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ ‘সংক্রমণের’ মতো ছড়াচ্ছে। প্রত্যেকেই দলের অন্দরে ও প্রকাশ্যে দাবি আদায়ে মুখ খুলেছেন। তাহলে কি তিনিও ওই পথেই হাঁটলেন!
যদিও রাজনৈতিক মহলে মনে করছে, এই পোস্টের উদ্দেশ্য দলের প্রতি নিজের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো। কিন্তু ক্ষোভের উৎস কী? কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বিধায়ককে না জানিয়েই দলের বিভিন্ন বৈঠক হচ্ছে। অনেক সিদ্ধান্তই বিধায়কের মতামত ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে।
কী ভাবছে জেলা বিজেপি? কৌশিক রায়ের সঙ্গে কথা বলবে? নাকি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘কেন এমন পোস্ট, জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’ প্রসঙ্গত, এর আগে কালীপুজোয় গানের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে, নেচে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কৌশিক রায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন