বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম উত্তরবঙ্গের বিধায়ক সম্মেলন করল বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ৩০ জন বিধায়কের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২৫ জন। সেখানেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে প্রসঙ্গ উঠে আসে। সমর্থন জানান অনেক বিধায়কই। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে আলাদা রাজ্য করার প্রথম দাবি জানান আলিপুরদুয়ারের সংসদ জন বারলা।
বৈঠকের পরে দলের অন্যতম জাতীয় মুখপাত্র রাজু বিস্ত বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষকে বঞ্চনা করা হয়েছে। তাই আলাদা রাজ্য হওয়া প্রয়োজন। এটা মানুষের বক্তব্য। মানুষের দাবি জোরদার হলে দাবির সমর্থনে বিষয়টি সংসদে তুলে ধরব।’
বিজেপি সূত্রের খবর, এদিন উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়ে প্রত্যেক বিধায়কের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সূত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বিধায়কেরই অভিযোগ উত্তরবঙ্গের প্রতি রাজ্য সরকারের ‘বঞ্চনা’।
মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন যেমন বলেন, ‘একমাত্র আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেই উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা ঘুচবে।’ নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষ যদি আলাদা রাজ্যের দাবি তোলে, আমরা তার বাইরে থাকতে পারি না।’ একই কথা বলেন দার্জিলিঙের বিধায়ক নীরজ জিম্বা।
দলের অন্দরের খবর, উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে বিধায়কদের মতামট জেনে নেওয়া হচ্ছে। বিজেপির একাংশের বক্তব্য, দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। সেই ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলেছেন বার্লা।
কিন্তু দক্ষিণের নেতারা প্রকাশ্যে এই দাবির বিরোধিতা করেছেন। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও আপত্তি জানিয়েছেন। যদিও সম্প্রতি বার্লার সঙ্গে থাকার সময় প্রকারান্তরে বঙ্গভঙ্গের দাবির প্রতি সহানুভূতি জানালেও সাংসদের সঙ্গ ছাড়তেই নিজের পুরনো অবস্থানে ফিরে আসেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন