লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপিতে ফের ভাঙন। জেলা কমিটি ও জেলা সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার বিজেপি বিধায়ক দুর্গা মুর্মু। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ইস্তফা বলে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বচনে হারার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভিত যেন নড়ে গেছে। পরপর একাধিক দলবদল দেখেছে বাংলা। এবার শিলিগুড়ি বিজেপিতে ভাঙন। দল না ছাড়লেও দলের সাংগঠনিক পদ ছাড়লেন দুর্গা মুর্মু। জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন তিনি। সেই পদও ছেড়ে দিলেন। একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দুর্গা মুর্মুর ইস্তফার কথা উল্লেখ রয়েছে। যদিও সেই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
চিঠিতে দুর্গা মুর্মু পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি লেখেন, "আমি একজন বিধায়ক হওয়ার কারণে নিজের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ও বিধানসভার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছি।" তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও স্থানীয় বিজেপি নেতা আনন্দ বর্মন গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বেই ইস্তফা দিয়েছেন দুর্গা মুর্মু।
বৃহস্পতিবারই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন ৩০ জন বিজেপি কর্মী ও মণ্ডল সভাপতি। জেলা সভাপতি হিসেবে যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে পদত্যাগ করেছিলেন তাঁরা। এখানেও সেই আনন্দ বর্মন ও শঙ্কর ঘোষের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের যোগ রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৮ অগাস্ট শিলিগুড়ি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে অমিত শাহ এসে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গেছেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে পালন করার পরিবর্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে বিজেপির নেতা কর্মীরা। এইভাবে দলের মধ্যে বিদ্রোহ তৈরি হলে ৩৫টি আসন আদৌ জিততে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ফাঁসিদেওয়া থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন দুর্গা মুর্মু। তৃণমূল প্রার্থী ছোটন কিস্কুকে ২৭,৭১১ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন