বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল হেলেঞ্চাতে। পোস্টারে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম রয়েছে। যদিও এই ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
পোস্টারে বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে মীরজাফরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে - 'মীরজাফরের স্থান নেই তৃণমূলে। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা তুলতো বিশ্বজিৎ দাস এখান থেকে। গোরু পাচারকারী স্মাগলার বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে কোন স্থান নেই। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ।' এই লেখা পোস্টার হেলেঞ্চা বাজারের বিভিন্ন দোকানের সামনে, রাস্তায় থাকা পুলিশ ডিভাইডারে সোমবার সকাল থেকে লক্ষ্য করা যায়।
এই বিষয়ে বাগদা তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম ব্লক সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার বলেন - এটা আমার জানা নেই। আমি শুনলাম বিশ্বজিৎ দাসের সম্পর্কে পোস্টার পড়েছে। বিশ্বজিৎ দাস এখনো বিজেপির বিধায়ক। সে ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এটা করা হয়নি। একে বিজেপির অন্তর দলীয় কোন্দল বলেই মনে করি আমি। তিনি যাতে দলত্যাগ না করতে পারেন সেই কারণেই বিজেপির কর্মীরা এটা করে থাকতে পারে।
যদিও বিজেপির বাগদা ২ নং মন্ডলের সভাপতি হরষিত চন্দ্র বালার দাবি - কি পোস্টার হয়েছে আমার জানা নেই। বিজেপি থেকে এই পোস্টার দেওয়া হয়নি। বিজেপির মধ্যে কোন অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই। তৃণমূল নেতৃত্বের ভয় আছে উনি যদি তৃণমূলে আসে তাহলে তৃণমূলের নেতৃত্ব ওনার হাতে চলে যাবে। আমার বিশ্বাস এটা তৃণমূল পার্টি থেকেই করেছে।
এই বিষয়ে বাগদার বিজিপি বিধায়াক বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন মুকুল অনুগামী বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি বিধায়ক বলেন - "মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার মধুর সম্পর্ক। এটার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যৎ বলবে আমি কি করবো।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন