নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর অভিযোগ তাঁকে না জানিয়েই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে তাঁর। এরপর তাঁর কিছু হলে দুই সরকারই দায়ী থাকবে। দলের তাঁর প্রতি এই উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ।
প্রায় ১৫ দিন আগে আচমকা জগন্নাথ সরকারের নিরাপত্তা তুলে নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই বিষয়ে জগন্নাথ সরকার বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। আমাকে না জানিয়েই নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলেও কোন কারণ আমাকে জানানো হয়নি।
বিজেপি সাংসদের দাবি, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী থাকলে পুরভোটে শাসক দল যেভাবে ছাপ্পা রিগিং করেছে, তার অনেকটাই তিনি রুখে দিতে পারতেন। পাশাপাশি বিগত দিনে নিজের ওপর হওয়া আক্রমণের কথা তুলে তিনি বলেন, আমি এর আগেও আক্রান্ত হয়েছি। গাড়ি দুর্ঘটনায় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি যদি আবারও আক্রান্ত হই, তাহলে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়পক্ষই দায়ী থাকবে।'
সাংসদ হওয়ার পর কেন্দ্রের এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন জগন্নাথ সরকার। রাজ্য সরকারের নিরাপত্তাও পেতেন তিনি। রাজ্য আগেই তাদের নিরাপত্তা তুলে নিয়েছিল। তারপর শুধু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেতেন তিনি। এখন তাও নেই।
যেখানে বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেখানে দলেরই একজন গুরুত্বপূর্ণ সাংসদের নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। বিরোধীদের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই নদীয়াতে বিজেপির মধ্যে বড়োসড়ো গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। তার জেরেই রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যদিও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি বিজেপি নেতৃত্ব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন