আদিবাসী মহিলার ধর্ষণে অভিযুক্তকে আড়াল করছেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা! তদন্তে পুলিশ

ধর্ষণের শিকার হন এক আদিবাসী মহিলা। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে বিজেপি ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
বিজেপি সাংসদ জন বার্লা
বিজেপি সাংসদ জন বার্লা জন বার্লার ফেসবুক পেজ
Published on

ধর্ষণের মতো ঘটনায় অভিযুক্তকে আড়াল করার অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে। আর তা ঘিরে স্বভাবতই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
অভিযোগ, ধর্ষণের শিকার হন এক আদিবাসী মহিলা। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে বিজেপি ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। কিন্তু ওই নির্যাতিতার পাশে না দাঁড়িয়ে সাংসদ অভিযুক্তকেই আড়াল করছেন, এমনই অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি পুলিশের কাছে নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন, বিচার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি নির্যাতিতাকে কোনও সহযোগিতা করেননি।

মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার পুলিশ ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত জয়চাঁদ আগরওয়াল নামে সত্তরোর্ধ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। যদিও ফোনে সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। যদিও এক সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানান, গোটা ঘটনা সাজানো। রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে।


জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, বানারহাটের বাসিন্দা এক যুবতী বুধবার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বানারহাট থানাতেও তিনি অভিযোগ জানান। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে। নির্যাতিতার দাবি, পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে সাংসদের কাছে গোটা ঘটনা জানান। কিন্তু তিনি কোনও সহযোগিতা করেননি। মহিলার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের বয়ান নেওয়া হচ্ছে। মামলায় কীভাবে, কার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে তা সার্বিক তদন্তে উঠে আসবে। তদন্তের ক্ষেত্রে বারলার সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলা হবে বলে জানান সুপার।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ত্রিশের ওই মহিলার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন ধরে অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করে। বিয়ের কথা বলতেই তিনি তাঁকে এড়িয়ে যায়। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিচার পাওয়ার আশায় সাংসদের কাছে গেলে তিনি পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টে বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃত জয়চাঁদ আগরওয়াল বিজেপি ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তাঁর স্টোনচিপ্স-সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে। একটি স্কুল আছে। নির্যাতিতা বলেন, আমি বিচারের আশায় পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি জয়চাঁদ আগরওয়ালের নির্যাতনের শিকার। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রথমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার পাশে দাঁড়াননি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in