বেশ কিছুদিন ধরে বিজেপি নেতাদের উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলতে দেখা যাচ্ছে। বিজেপি নেতা জন বার্লা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য চান। সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেই। এবার আর এক বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, জঙ্গলমহলকে একত্রিত করে “রাঢ়বঙ্গ” নামক পৃথক রাজ্যের দাবি তুললেন।
তিনি বলেন - “কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ৫০ কিলোমিটারের পরিধির মধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ বা অন্য জায়গার মন্ত্রী নেই। রাঢ়বঙ্গ থেকে মাত্র ১ জন মন্ত্রী। বাকি সবাই হাফ প্যান্ট মন্ত্রী। আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। রাঢ়বঙ্গের যুবকদের কর্মসংস্থান নেই। আমাদের এলাকার সম্পত্তি রাজ্য সরকারের কোষাগারে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের এলাকার মানুষ কিছু পাচ্ছে না। আগামী দিনে রাঢ়বঙ্গে এই দাবি উঠতে পারে”।
এখানেই থেমে থেকননি বিষ্ণুপুরের সাংসদ। তিনি কটাক্ষ করে বলেন- “ প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে বহিরাগত বলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেইভাবে এখানকার মানুষও মুখ্যমন্ত্রীকে বহিরাগত বলবেন। উনি বাংলাকে আলাদা দেশ বানানোর চেষ্টা করছেন। ওনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শখ হয়েছে”।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, যে বিজেপি সাংসদ জন বার্লার “উত্তরবঙ্গ” মন্তব্যকে মান্যতা দেয়নি বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। এই মন্তব্য জন বার্লার একান্ত ব্যক্তিগত বলে বিতর্ক এড়াতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু এরইমধ্যে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হল সৌমিত্র খাঁ-এর “রাঢ়বঙ্গ” মন্তব্যে।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে দিলীপ বলেছেন- “উনি তো আফগানিস্তান, সিরিয়া বানিয়েছেন। আমরা তো সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলাম”। সব মিলিয়ে আপাতত বেশ উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন