চতুর্থ দফা ভোটে বিজেপির পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে উদ্ধার হল সেই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। বিজেপির দাবি, তাঁদের বুথ সভাপতিকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তারা। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে, এক ভাইরাল ভিডিওতে ওই ব্যক্তির বাবা দাবি করছেন, পারিবারিক অশান্তির জেরেই তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করেছেন।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম অভিজিৎ রায়। তিনি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের সেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৩ মে চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন বর্ধমান-দূর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব সামলিয়েছিলেন তিনি। মন্তেশ্বরের জামনা অঞ্চলের ১৬৮ নম্বর বুথের পোলিং এজেন্টের ছিলেন তিনি। আর বৃহস্পতিবার সকালে আমচাকাই তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
জানা গেছে, বুধবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অভিজিৎ। বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি লাগোয়া খামারবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় অভিজিতের দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ এসে অভিজিতের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। এরপরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
যদিও এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা রাজ্যের শাসক দলের দিকেই নিশানা করছেন। তাঁদের দাবি, অভিজিতের আত্মহত্যার এমন কোনো কারণ নেই। যে জন্য তিনি নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেবেন। অভিজিৎকে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তার পর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও বিজেপির এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, এই মৃত্যুতে রাজনীতির কোনো যোগসূত্র নেই। পারিবারিক কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে।
অন্যদিকে, অভিজিতের মৃত্যুর পর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ব্যক্তি নিজেকে অভিজিতের বাবা বলে দাবি করছেন। ভিডিওতে থাকা ওই ব্যক্তি অরুণ রায় জানান, “ও নিজে থেকে সুইসাইড (আত্মহত্যা) করেছে। বৌমার সঙ্গে অশান্তি করত মাঝেমাঝে, মদ খেত, নেশা-ভাং করত। সংসার না চললেই বৌমার সঙ্গে অশান্তি হত।“
অরুণ আরও জানান, “এর আগেও এ রকম দু’চার বার করার চেষ্টা করেছিল। বেরিয়ে চলে গেল...। কোনও সময় আমগাছে গিয়ে গলায় দড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে। গ্রামের ছেলেরা দেখতে পেয়ে ছুটে যায়।“ (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন