ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিধানগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুরসভারই চেয়ারম্যান তথা বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তাঁর মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুরসভা। এটা দেখার দায়িত্ব মেয়রের।
রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। জেলাগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। আর এই জেলারই বিধাননগর পুরসভার কর্মীদের কাজে ক্ষুব্ধ খোদ চেয়ারম্যান। বেসরকারি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। গত বৃহস্পতিবার সল্টলেকেই মৃত্যু হয়েছে একজনের। এরপরই মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় সব্যসাচী দত্তকে।
সব্যসাচী দত্ত বলেন, "এলাকার বিভিন্ন জায়াগায় আবর্জনা পড়ে রয়েছে। পুরসভার কর্মীরা ঠিক করে কাজ করছেন না। এগুলো মেয়রের দেখা দরকার। বর্তমানে শুধু 'আসি যাই মাইনে পাই' এইভাবে কাজ চলছে। মেয়রকে ফোন করলাম কিন্তু পেলাম না। এমআইসি হেলথকে বললাম সে শুধু শববাহী ভ্যান পাঠিয়ে দিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "এই বিষয়ে আমি পুরসভাকে আগেও বলেছি। কিন্তু কিছু বললেই সকলে বলবে কী করবো? পুরসভাতে একজন কাউন্সিলরের কাজ কী তা মেয়রকে বলতে হবে।"
যদিও এই নিয়ে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সব্যসাচী দত্ত হলেন বিধাননগর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সুজিত বসুর কাছে হেরে যান তিনি। ২২-র পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন। গোপন সূত্রে খবর, প্রাক্তন মেয়র হিসেবে সল্টলেকে একাধিক কাজ করেছিলেন তিনি। এবারেও মেয়রের দৌড়ে নাম ছিল তাঁর। কিন্তু দল সব্যসাচীকে চেয়ারম্যান এবং কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে মেয়র করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন