সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুললো লালন শেখের পরিবার। সোমবার বিকেলে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। লালনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে সিবিআই, এমনটাই অভিযোগ তার স্ত্রীর।
গত সপ্তাহে ঝাড়খন্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালন শেখকে। বিচারক তার ৬ দিনের সিবিআই হেফাজত দিয়েছিলেন। বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল তাকে। সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল ৪.৪০ মিনিট নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
এরপর রামপুর হাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় লালন শেখের মৃতদেহ। সেখানেই আসেন তার স্ত্রী সহ অন্যান্য আত্মীয়রা। সংবাদমাধ্যমের সামনে লালন শেখের দিদি সামসুন্নাহা বিবি অভিযোগ করেন, লালনকে সিবিআই প্রচন্ড মেরেছিল। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না তিনি। জল খেতে দেওয়া হয়নি।
লালনের স্ত্রী বলেন, "সিবিআই আমার পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। আমাকেও মেরেছে। আমরা সিবিআইয়ের শাস্তি চাই।"
যদিও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কী কারণে লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে, সেই বিষয়েও মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ছুঁড়ে হত্যা করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এরপর ওই রাতেই বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ভাদু অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। ভাদু শেখের ডান হাত লালন শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। গত সপ্তাহে লালনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের এভাবে সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা কি কোনও তথ্য লোপাটের চেষ্টা করছে, উঠছে সেই প্রশ্নও।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে বলেন, "সত্য সামনে আসা উচিত। তবে সিবিআই আধিকারিকরা সেই সময় কোর্টে ছিলেন বলে শুনেছি আমি।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন