বিগত এক দশক ধরে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের মানুষের উপর যে অত্যাচার চালিয়ে আসছে, তার ইনসাফের জন্যই এই ব্রিগেড। বৃহস্পতিবার মেটিয়াব্রুজের সভা থেকে দাবি ডিওয়াইএফআই (DYFI) রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত সিপিআইএম-র যুব সংগঠন DYFI-র ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রা। আগামী ৭ জানুযারি ব্রিগেডে রয়েছে জনসভা। সেই উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় আয়োজন করা হয় ব্রিগেডের সমর্থনে জনসভা। মেটিয়াব্রুজ লোকাল কমিটির উদ্যোগে এদিন কারবালা বাজার এলাকায় আয়োজন করা হয়েছিল জনসভা। সেই সভাতে উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি।
সভা থেকে ব্রিগেডের সমর্থনে মীনাক্ষী জানান, “তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ, কাজের সুযোগ, মানুষকে খেতে দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে না। শুধু পাওয়া যাবে লুঠ, চুরি, দুর্নীতি, মানুষকে শোষণ বঞ্চনা এবং জাতধর্মের ভাগাভাগি। কিন্তু আমরা সেটা করব না। তাই মানুষের ভাত, রুটি, জীবিকা, শিক্ষার যে মূল লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যের লড়াই জোরালো করতে আগামী ৭ জানুয়ারি লক্ষ লক্ষ মানুষ উত্তাল হবেন মহানগরীতে।“
মীনাক্ষী মেটিয়াব্রুজের সংখ্যাগরিষ্ট দর্জি ও ওস্তাগর পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জীবিকা নিয়েও কথা বলেন। তাঁর কোথায়, “মোদী সরকার আদানি-আম্বানি সহ বৃহৎ ব্যবসাসায়ী ও কর্পোরেটদের স্বার্থে দর্জি ও ওস্তাগর শিল্পে যুক্তদের জীবিকা তছনছ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আর এই ষড়যন্ত্রমূলক বিলকে এরাজ্যে কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা এই অভিসন্ধীর বিরুদ্ধে লড়ব।“
মীনাক্ষীর কথায়, ওই ৫০ দিনের যাত্রাপথে রাজ্যের বহু করুণ ছবি উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতি পাল্টানোর জেদি শপথ নিয়েই লড়াই সংগ্রামের পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের যুবসমাজ। আগামী ৭ জানুয়ারি সমাবেশে ওঠে আসবে এই সব লড়াইয়ের কথা ।
এদিন বহু মানুষ আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে মীনাক্ষীর হাতে অর্থ সাহায্যও তুলে দিয়েছেন। মীনাক্ষী ছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন এসএসআই –এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক কৌস্তব চ্যাটার্জি, ডিওয়াইএফআই কলকাতা জেলা সম্পাদক পৌলবী মজুমদার, সঞ্জয় চক্রবর্তী সহ যুব নেতৃত্ববৃন্দ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন