কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে শুক্রবার পথে নামছে এসএফআই। তাদের অভিযোগ, বর্ধমান রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তুহিনা খাতুন ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন।
বুধবার পুরভোটের ফল প্রকাশের দিনই বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তুহিনা খাতুনের (১৯) দেহ। তুহিনার বাড়ি যেখানে, সেই ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে ভোটে জেতেন শেখ বসিরুদ্দিন ওরফে বাদশা, যিনি এলাকায় দাগী তোলাবাজ হিসেবে পরিচিত। তুহিনার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটে জেতার পরই এলাকায় বোমাবাজি শুরু করেন বাদশা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসাতে থাকেন। তুহিনার বাড়িতেও যান বাদশা। সেইসময় বাড়িতে তুহিনা ও তাঁর দুই বোন ছাড়া কেউ ছিল না। এর কিছুক্ষণ পরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তুহিনার।
জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই তুহিনা ও তাঁর দুই বোনকে উত্তক্ত করতেন বাদশা। ভোটে জিতলেই ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল তুহিনাকে। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তুহিনার বাড়ির পাশে একটি দেওয়ালে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন মেয়ের একটি কার্টুন এঁকে দিয়েছিলেন বাদশার অনুগামীরা। এর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তুহিনার বাবা জুনাই শেখ, যিনি নিজেও শাসকদলের কর্মী। জুনাই শেখের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় অন্যান্য তৃণমূল নেতারাও। কিন্তু কার্টুন মোছেননি বাদশা। বরং হুমকি আরও বেড়েছে।
তুহিনার মৃত্যুতে উত্তপ্ত বর্ধমান। আজ তাঁর মৃতদেহ মিছিল করেন স্থানীয়রা। মিছিলে শামিল হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। বাদশার শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। সরব হয়েছে এসএফআইও। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার কার্জন গেটে বিক্ষোভ দেখাবে SFI কর্মীরা।
বাদশা সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় এফাআইআর দায়ের করেছেন তুহিনার দিদি কুহেলি বিবি। পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তিষ মহিলা সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন