রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করাই একমাত্র উদ্দেশ্য বিজেপির। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির। বর্ধমানের পুরপ্রশাসকের গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। শনিবার বর্ধমানে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, চিটফান্ড কাণ্ডে বর্ধমানের পুর প্রশাসককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, 'রাজনৈতিক মোকাবিলায় ব্যর্থ বিজেপি। তাই নিজেদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিজেপি। এটা সবাই জানে। অতীতেও রাজনৈতিক ময়দানে পর্যদুস্ত হওয়ার পর তারা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করেছে। বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও বিজেপির সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে।'
তিনি বলেন, 'মাস চারেক আগে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক হিসেবে প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যে সানমার্গ চিটফান্ড কাণ্ডে তদন্ত চলছে। কিন্তু কখনোই প্রণববাবুর নাম উঠে আসেনি এই মামলায়। যেহেতু তাঁকে পুর প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাই তাঁকে কালিমালিপ্ত করতেই কি নাটক?'
তাঁর দাবি, দিল্লির কাছে মাথা নত করব না। দিল্লি থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করব। আর পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন পুরভোটেও ফলাফল একই হবে। বিজেপির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা সৌমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্তরে বলেন, 'সিবিআই নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই পুর প্রশাসককে গ্রেফতার করেছে। তৃণমূলের যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা আদালতে বলুক। সিবিআইয়ের তদন্তের সঙ্গে বিজেপির একেবারেই কোনও সম্পর্ক নেই।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন