রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ কমার আগেই আরও একবার নির্বাচনের কড়া নাড়া। কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যের ১০ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে হবে। যা সদ্য লোকসভা নির্বাচন পেরিয়ে আসা রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই অ্যাসিড টেস্ট।
রাজ্যের যে ১০টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে তার মধ্যে ৬টি ছিল তৃণমূলের দখলে এবং ৪টি ছিল বিজেপির দখলে। লোকসভা নির্বাচনে আশাতীত ফলাফলের পর এই সব কটি আসনেই জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি সূত্র অনুসারে, তারাও দখলে থাকা ৪ আসনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পাঁচ বিধায়ক সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। যাদের মধ্যে আছেন কোচবিহারের সিতাই কেন্দ্রের জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া, বাঁকুড়ার তালডাংরার অরূপ চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুরের জুন মালিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির পার্থ ভৌমিক এবং হাড়োয়ার হাজি নুরুল ইসলাম। এঁদের সকলকেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে হবে।
আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগগা আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁকেও ইস্তফা দিতে হবে বিধায়ক পদে।
এই পাঁচ কেন্দ্র ছাড়াও কলকাতার মাণিকতলা কেন্দ্র তৃণমূল বিধায়ক সাধন পান্ডের মৃত্যুর পর থেকে শূন্য। এছাড়া তিন বিজেপি বিধায়কের দলত্যাগের কারণে বাকি তিন আসনে উপনির্বাচন হবে। এই তিন আসন হল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, নদীয়ার রাণাঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা।
এই তিন কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমণি অধিকারী এবং বিশ্বজিৎ দাস ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও এই তিনজনই বিজেপি প্রার্থীদের কাছে ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এখন দেখার এই তিনজনকেই তৃণমূল আবারও বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করে কিনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন